দেশের ক্রীড়াঙ্গণে এ এক নতুন আভিজ্ঞতা। কাতারে আর্থনা সামিটে অংশ নিতে সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সফরসঙ্গী হয়েছিলেন চার নারী ক্রীড়াবিদ। কাতার ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণেই ক্রীড়াবিদদের এই সফর। যেখানে ফাউন্ডেশনের প্রধান ও কাতারের আমিরের বোন শেখা হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আফঈদা, রিপা, শারমিন ও সুমাইয়ারা। তুলে ধরেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস ও সাফল্য।
২০২২ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করে সাড়া ফেলে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। সেই বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু ও বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন নারী ক্রীড়াবিদরা। দেশে ফিরে সেই অভিজ্ঞতাই জানালেন গণমাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রেফারি ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ম্যাচ বয়কটের হুমকি রিয়ালের
স্পোর্টস অবকাঠামোতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন দেশে খেলাধুলায় বিনিয়োগ ও সাহায্য করে থাকে কাতার ফাউন্ডেশন। তাই প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের কাছে নিজেদের চাহিদা গুলো তুলে ধরেন আফঈদা-শারমিনরা। যেখানে ছিলো উন্নত মাঠ, ডর্মিটরি জিমনেসিয়াম ও ইনজুরি সারতে রিহ্যাব সেন্টার নির্মাণ। সব শুনে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন কাতার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী।
শুধু ক্রিকেট-ফুটবল নয়। আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন স্পোর্টস নিয়েও। ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টনের মতো ডিসিপ্লিনগুলোতে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ কাতারকে দিয়েছে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি।
এদিকে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে যেন ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফিরে গিয়েছিলেন আফঈদা খন্দকার ও শাহেদা আক্তার। যেদিন বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিলেন মেসি-ডি মারিয়ারা। সেই মঞ্চে পা রেখেই স্মৃতির সাগরে ডুব দেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের এই দুই ফুটবলার।
আরও পড়ুন: রিয়ালের এল ক্লাসিকোর রেফারি বদলের আবেদন নাকচ করল স্প্যানিশ ফেডারেশন
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সংবাদধ্যমে বলেছেন, ‘আসলে অনুভূতিগুলো বলে বোঝানো যাবে না। মেসি যখন টুক টুক করে হেঁটে বিশ্বকাপটা উঁচিয়ে ধরেছিল, সেই মুহূর্তটা চোখে ভাসছিল। তাদের ড্রেসিংরুম, অনুশীলন-ওয়ার্মআপের জায়গাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সবকিছু স্বপ্নের মতো লেগেছে।’
আফঈদার মতো বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলার শাহেদা আক্তার রিপাও বেশ রোমাঞ্চিত। ‘মেসিরা যেখানে বিশ্বকাপ জিতেছে, সেই স্টেডিয়াম দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আগে কখনও এমন সুযোগ পাইনি।’
]]>