মেরাজের রাতে নবীজি যেসব নিদর্শন দেখেছেন

৩ সপ্তাহ আগে
মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। এমন কোনো যুগ নেই নবী-রসুল থেকে খালি ছিল। নবী-রসুলদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি হলেন আমাদের প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি নবী-রসুলদের সর্দার।

রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতকে শক্তিশালী করার জন্য দেয়া হয়েছে অগণিত মুজেজা। তন্মধ্যে মেরাজ অন্যতম। বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে যে সকল অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল তন্মধ্যে মিরাজের ঘটনা অন্যতম; যা পবিত্র কোরআনুল কারিম এবং অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

 

মেরাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন,

 

لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا অর্থ: (মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল) তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্যে। (সুরা বনি ইসরাইল ১)

 

আরও পড়ুন: আসলেই কি আল্লাহ দূরের সত্তা, প্রশ্ন শায়খ আহমাদুল্লাহর

 

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে অসংখ্য বড় বড় নিদর্শন দেখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরে হলো:

 

১. মানবজাতির পিতা আদম (আ.)-কে দেখেছেন। তার ডানপাশে ছিল শহিদদের (জান্নাতিদের) রুহ এবং বামপাশে ছিল জাহান্নামিদের রুহ।

 

২. মেরাজের রাতে নবীজি জাহান্নাম দেখতে গেলে মালেক নামক জাহান্নামের প্রধান রক্ষী নবীজিকে সালাম ও অভ্যর্থনা জানান। (মুসলিম ১৬৫) 

 

৩. রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 

 

অতঃপর আমার সামনে বায়তুল মামুর উন্মুক্ত করা হলো। বায়তুল মামুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জিবরাইল বললেন, এটি হলো বায়তুল মামুর। এতে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশতা সালাত আদায় করে। একবার যে সেখান থেকে বের হয়ে আসে কেয়ামতের পূর্বে সে আর তাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।

 

আরও পড়ুন: সিলেটের মাহফিলে ‘তুমি’ সম্বোধনের যে ব্যাখ্যা দিলেন আজহারী


৪. রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘অতঃপর আমার জন্যে সিদরাতুল মুনতাহা তথা সীমান্তের কূলবৃক্ষ উন্মুক্ত করা হলো। এ বৃক্ষের ফলগুলো ছিল কলসির ন্যায় বড়। গাছের পাতাগুলো ছিল হাতির কানের মতো বৃহদাকার।’

 

৫. নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাজ্জালকেও দেখেছিলেন। (মুসলিম ১৬৫)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন