মেরাজে সুদখোর, আমলহীন বক্তা ও গীবতকারীদের যে পরিণতি দেখেন নবীজি

২ সপ্তাহ আগে
মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রসুল পাঠিয়েছেন। এমন কোনো যুগ নেই নবী-রসুল থেকে খালি ছিল। নবী-রসুলদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি হলেন আমাদের প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি নবী-রসুলদের সর্দার।

রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতকে শক্তিশালী করার জন্য দেয়া হয়েছে অগণিত মুজেজা। তন্মধ্যে মেরাজ অন্যতম। বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে যে সকল অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল তন্মধ্যে মিরাজের ঘটনা অন্যতম; যা পবিত্র কোরআনুল কারিম এবং অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।

 

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে অসংখ্য বড় বড় নিদর্শন দেখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরে হলো:

 

১. এমন একদল লোকের পাশ দিয়ে নবীজি যাচ্ছিলেন, যাদের নখ ছিল তামার। এই নখ দ্বারা তারা স্বীয় মুখমণ্ডল ও বক্ষ আঁচড়াচ্ছিল। এদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে জিবরাইল (আ.) নবীজিকে জানালেন, 

 

এরা সেই লোক, যারা দুনিয়াতে মানুষের গোশত ভক্ষণ করত।’ অর্থাৎ একে অপরের গীবত ও মানহানি করত। অন্য এক বর্ণনা দ্বারা জানা যায়, বরং দুনিয়াতে গীবতকারী এসব লোকদেরকে মৃত ভক্ষণ করতে দেখেছিলেন নবীজি। (আহমাদ ৩/২২৪)

 

আরও পড়ুন: দাম্পত্য জীবনের সেরা ১০ সুন্নত


২. তিনি গাছের গোড়াতে চারটি নদী দেখতে পেলেন। দুটি চলে গেছে ভেতরের দিকে আর দুটি চলে গেছে বাইরের দিকে। জিবরাইল (আ.) কে আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, 

 

ভেতরের দিকে প্রবাহিত নদী দুটি জান্নাতে চলে গেছে এবং বাইরের নদী দুটি হলো ফোরাত ও নীল। ফোরাত ও নীল দেখার অর্থ হলো রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিশন অচিরেই ওই নদী দুটির অঞ্চলে পৌঁছে যাবে এবং ওই সমস্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা যুগে যুগে ইসলামের পতাকা বহন করবে। অর্থ এই নয় যে, এ দুটি নদী জান্নাত থেকে বের হয়ে এসেছে।

 

৩. মেরাজের রাতে নবীজি এমন কিছু লোককে দেখতে পেয়েছিলেন, যাদের ঠোঁট কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছিল, ঠোঁট কাটামাত্র তা পুনরায় জোড়া লেগে পূর্ববৎ হয়ে যেত। এদের সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জিবরাইল (আ.) নবীজিকে উত্তর দিলেন, 

 

এরা এমন বিষয়ে বক্তৃতা ও ওয়াজ করত, যা তারা নিজেরা আমল করত না। (আহমদ ৩/১৮১)

 

৪. মেরাজের রাতে নবীজি এমন লোকদের দেখলেন, যাদের পেট ছিল এক একটি গৃহের মতো। পেটের ভেতরটা ভর্তি ছিল সাপে, যা বাইরে থেকেই দেখা যাচ্ছিল। প্রশ্ন করা হলে জিবরাইল (আ.) জানালেন, ‘এরা সুদখোর।’ (আহমদ : ২/৩৫৩)

 

আরও পড়ুন: আল্লাহর সেরা উপহার কন্যাসন্তান


৫. মেরাজের রাতে তিনি সিদরাতুল মুনতাহায় জিবরাইল (আ.) ফেরেশতাকে আসল আকৃতিতে দেখলেন। অথচ এর পূর্বে তিনি আরেকবার দুনিয়াতে তাকে দেখেছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন