হাসপাতালে উপচে পড়া ভিড়। শয্যা সংকটে রোগীদের স্থান হয়েছে মেঝেতে। তবে কেউ ডিসচার্জ হলে ওয়ার্ড বয়কে ঘুষ দিলে অন্য রোগীর মেলে সেই সিট। এমন অভিযোগ সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীদের। এমনকি, ওষুধ সংকটের অভিযোগও নিয়মিত।
রোগীর স্বজনরা বলছেন, টাকা দিলে সিট পাওয়া যায়। না হলে মেঝেতে থেকেই চিকিৎসাসেবা নিতে হয়। হাসপাতাল থেকে ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বাড়তি দামে।
সিলেটের বিশেষায়িত এ সরকারি হাসপাতালটিতে জনবল সংকট, অবকাঠামোগত দুরবস্থা আর শয্যা সংকট দীর্ঘদিনের। সঙ্গে যোগ হয়েছে নোংরা পরিবেশ এবং ওয়ার্ডবয়, নার্স-ব্রাদারদের অসদাচরণ। এছাড়া, হাসপাতালের ভেতর ও বাইরে ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে।
আরও পড়ুন: অ্যানথ্রাক্সের টিকায় অনিয়মের অভিযোগ, ৮০ পয়সার বদলে গুনতে হচ্ছে ৬০ টাকা!
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন। সম্প্রতি এক অভিযানে বেরিয়ে আসে একের পর এক অনিয়মের তথ্য। এরমধ্যে রয়েছে, ওষুধ, খাবার, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের নিয়োগ ও বেতন জটিলতার অনিয়ম।
দুদকের (সিলেট) সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, ‘অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে কমিশনের কাছে সুপারিশ করা হবে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশনের অনুমতি নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে সমস্যা সমাধানে গতানুগতিক আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. বদরুল আমিন বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বদলি করা হচ্ছে। আর যেসব কর্মী আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে চাকরি বাতিল করা হচ্ছে।’
কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ৫শ শয্যার এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার রোগী স্বাস্থ্যসেবা নেন।
]]>