সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একই কোম্পানির অপর জাহাজের (মুগনি-৩) নাবিকরা এই ছয়জনের পরিচয় জানিয়েছেন। তবে নিহতদের পরিচয়ের বিষয়ে এখনও জেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
নিহতরা হলেন: জাহাজের মাষ্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। নিহত একজনের নাম জানা যায়নি। আর আহত ব্যক্তি হলেন জুয়েল। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি নড়াইল জেলায়।
জেলা প্রশাসক, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের ধারণা, এমভি আল বাখেরা জাহাজে ডাকাতিতে বাধা দেয়ায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও পুরো ঘটনা দ্রুত উদঘাটনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন।
মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অপর জাহাজ মুগনি-৩ এর মাস্টার বাচ্চু মিয়া ও গ্রিজার মো. মাসুদ জানান, সার বহনকারী এমভি আল বাখেরা নামক কার্গো জাহাজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে রাতে পৌঁছে চাঁদপুরের মেঘনায়। এরইমধ্যে ওই কোম্পানির মালিক শিপন বাখেরাহ জাহাজের স্টাফদের ফোন করে কাউকে পাননি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কার্গো জাহাজে পাওয়া গেল ৭ জনের মরদেহ
এরপরই সোমবার দুপুরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চান তিনি। তারপর ঘটনাস্থলে ছুটে যান কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. ফজলুল হক, নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান এবং সবশেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন।
গুরুতর আহত একজন সম্পর্কে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, জুয়েল (২৮) নামে আহত একজনের গলা ও শ্বাসনালি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কাটা ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। আর উদ্ধার করে অন্য দুজন সজিবুল (৪০) ও মাজেদুলকে (৪৫) মৃত অবস্থায় আনা হয়। তাদের মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।