সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসন ও নৌ-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব ড্রেজার জব্দ ও ওই ব্যক্তিদের আটক করে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, জেলার মতলব উত্তরের আমিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন চলছে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমরান হোসেনের নেতৃত্বে নৌপুলিশে বিশাল একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়।
আরও পড়ুন: ফেনী নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান
এ সময় হাতেনাতে ৮টি ড্রেজার জব্দ করা হয়; একইসঙ্গে ১৬ জন স্টাফকে আটক করা হয়। যারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, যে বা যারাই মেঘনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত এবং নেপথ্য থেকে কলকাঠি নাড়ছেন। তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতরা অভিযানকারী দলের ওপর হামলার চেষ্টা করে। কিন্তু ৩টি স্পিডবোট নিয়ে নৌপুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের কারণে তাদের সেই চেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে 'ওপেন সিক্রেট' বলছেন তারা
অন্যদিকে, চাঁদপুর নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএমএস ইকবাল জানান, জব্দ করা ৮টি ড্রেজার নৌপুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আটক ১৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৬ সাল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় সব ধরনের বালু উত্তোলন সরকারিভাবে বন্ধ রয়েছে। নতুন করে বালুমহাল ঘোষণা না হলেও নানা ফাঁকফোকর গলে বিশেষ মহল কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নেপথ্যে থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।