খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝালকাঠি ওজোপাডিকোর আওতায় ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। স্থানীয় ওজোপাডিকো থেকে মোট ৯টি ফিডারে জেলা শহর ও আশপাশে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। মোট ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘন ঘন ফল্ট, দমকা বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। আর ঝড়-বাদলে ২৪ ঘণ্টা পেড়িয়ে গেলেও পাওয়া বিদ্যুতের দেখা। এ অবস্থা চলে আসছে কয়েক বছর ধরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৮০ দশকে যাত্রা করা ঝালকাঠি সাব স্টেশন দিয়েই জেলা শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। সনাতনী যন্ত্রপাতির সঙ্গে সঞ্চান লাইন এবং অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটিও নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলে সামান্য বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎহীন থাকতে লক্ষাধিক মানুষকে। আর মেরামতের নামে সকাল-সন্ধ্যা রাখা হয় সংযোগ বন্ধ। এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ সঞ্চালন লাইনে মেরামতে চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদার নিয়োগের অর্থ নয়ছয় করে আসছে বলেও অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। ফলে অগণিত গ্রাহক আসন্ন ঝড়-বাদলের সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায়। শ্রমিক নেতা মোস্তফা কামাল বলেন, গ্রীষ্মের এই হালকা-পাতলা বাতাসেই বিদ্যুৎ ভোগান্তি শুরু হয়ে গেছে। সামনে ঝড়-বাদলের দিন আসছে। তখনতো আর বিদ্যুৎ সরবরাহই থাকবে না।
আরও পড়ুন: টিউবওয়েল চাপতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল কফিলের
ব্যবসায়ী উদয় শংকর বলেন, প্রায়ই সংযোগ লাইন মেরামতের নামে সকাল-সন্ধ্যা পর্যন্ত সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। শ্রমিক নিয়োগ না করে নিজেদের স্বল্প জনবল দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়ে এ জনভোগান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
শহরতলীর ইছানীল এলাকার যুবক তালাশ মাহামুদ বলেন, আমাদের এলাকায় একটি খুঁটি অর্ধেক ভেঙে পড়ে আছে প্রায় এক বছর ধরে। কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
বৈরী আবহাওয়ার সময় বিদ্যুৎ ভোগান্তির কথা স্বীকার করে ওজোপাডিকো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানায়, সঞ্চালন লাইনে তাদের ২৭ জন আউট সোর্সসিংয়ের কর্মচারী পদ শূন্য রয়েছে। তবে চুক্তিভিত্তিক ঠিকাদার নিয়োগ করে এসব সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
অপরদিকে জেলা শহরে একটি বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। এটি সম্পন্ন হলে সব আর কোন সমস্যা থাকবে না বলেও দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।
]]>