বুধবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই আহ্বান জানান।
নেতারা বলেন, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে দখলদার ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন থেমে নেই। বিমান হামলা, শিশু হত্যাকাণ্ড, ঘরবাড়ি ধ্বংস, বিদ্যুৎ ও পানি বিচ্ছিন্ন এবং ত্রাণ নিতে আসা ক্ষুধার্ত মজলুম ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ওপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে লক্ষাধিক নিরীহ মানুষকে।
নেতারা বলেন, জায়নিস্ট ইসরাইল কেবল ফিলিস্তিন নয়-গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য এক স্থায়ী হুমকি। অবৈধ এই রাষ্ট্রটি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ তথাকথিত বিশ্ববিবেক নীরব, কিন্তু মুসলিম উম্মাহ চুপ থাকতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে ইনসাফ, স্বাধীনতা ও মুসলিম ঐক্যের প্রশ্নে আমাদের সরব হওয়া অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক সময়োপযোগী: বাংলাদেশ
বিবৃতিতে তারা বলেন, গাজা ও ইরানের রক্তাক্ত ভূমি আমাদের কাছে ডাক পাঠাচ্ছে। এই মুহূর্তে নীরবতা মানেই দখলদারিত্বের পক্ষে অবস্থান নেয়া। আমরা মুসলমান ইনসাফ ও স্বাধীনতার পক্ষে এবং জুলুম-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তারা আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের তাওহিদি জনতা, ওলামায়ে কেরাম, আলেম-ছাত্রসমাজ এবং সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাই। ২৭ জুন, শুক্রবার বাদ জুমা শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করুন এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর অবস্থান স্পষ্ট করুন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কর্মসূচি সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পালিত হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রতিটি পর্যায়ে স্থানীয় নেতারা কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।