অ্যাক্সিওস এর বরাত দিয়ে বুধবার আনাদোলু এই খবর জানিয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে, অ্যাক্সিওস জানায়, যদি সেই সময়সীমার মধ্যে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে তিনটি ইউরোপীয় শক্তি কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে। ২০১৫ সালের ইরান চুক্তির অধীনে প্রত্যাহার করা সমস্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় আরোপ করা হবে বলেও জানানো হয়।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরানের সাথে পারমাণবিক কূটনীতি এগিয়ে নেয়ার সমন্বয় করার জন্য এই ফোনালাপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইরানের পরমাণু ইস্যুতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর নাকচ করল রাশিয়া
দুটি সূত্রের মতে, ইউরোপীয়রা এখন আগামী দিনে এবং সপ্তাহগুলোতে ইরানের সাথে যোগাযোগ করার পরিকল্পনা করছে এই বার্তা নিয়ে যে, তেহরান যদি আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার পর্যবেক্ষণ পুনরায় শুরু করাসহ তার পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে বিশ্বকে আশ্বস্ত করার পদক্ষেপ নেয় তবে তারা নিষেধাজ্ঞাগুলো এড়াতে পারে।
২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি, ইরান এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য - চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির মধ্যে সই হয়েছিল। চুক্তিতে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদকে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সালের ৮ মে একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র এবং তেহরানের উপর পুনরায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তাদের অভিযোগ এই কর্মসূচি চালিয়ে ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তবে সবসময় তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত দাবি করে আসছে তেহরান।
আরও পড়ুন:ইরানের প্রেসিডেন্টকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ইসরাইল: রিপোর্ট
]]>