পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই সতীর্থ ও বোর্ড কর্মকর্তাদের কাছ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং উপহার। মাঠেও সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারদের মাঝে ৩৬ বছর পার করা এই ব্যাটারই আজ সবচেয়ে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। ছিল না শততম টেস্টে ভালো করার চাপ কিংবা কোনো তাড়াহুড়ো। তবে দিনের শেষটায় হয়তো কিছুটা অস্বস্তি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মুশি। কারণ শততম টেস্টের সেঞ্চুরি থেকে যে কেবল ১ রান দূরে থাকতে দিনের খেলা করতে হয়েছে তাকে।
কেবল ১ রানই তো, আগামীকাল প্রথম বলেই হয়তো করে নেবেন- এটা নিয়ে অস্বস্তিতে থাকার কী আছে, এমন প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। এটার উত্তর হলো- টেস্টে সাধারণত দিনের প্রথম কয়েকটি ওভারই ব্যাটারদের জন্য সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। সকালের শিশিরের সুবিধা পেয়ে ভালো বোলিং করেন পেসাররা। বেশিরভাগ ম্যাচেই দিনের শুরুতে উইকেট পেয়ে থাকেন বোলাররা।
মুশফিকের মাথায়ও হয়তো এই বিষয়টা কাজ করেছিল দিনের শেষের দিকে। তাই শেষ কয়েকটা ওভারে কিছুটা তড়িঘড়ি করছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে লাভ হলো না, সেঞ্চুরি একেবারে ১ রান দূরে থেকে দিন শেষ করতে হয়েছে তাকে।
দিনের নির্ধারিত কোটার শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে ৩ রান দরকার ছিল মুশফিকের। পুরো স্টেডিয়াম তখন এই বিশেষ সেঞ্চুরির আশায়। কিন্তু ওই ওভারে মাত্র ২ রান নিতে পেরেছেন মুশি। শেষ ওভারের পর মুশফিকের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা গেছে, দর্শকদের মতো খানিকটা হতাশ হয়েছেন মুশফিক নিজেও।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনেও প্রশ্ন উঠেছে এই বিষয় নিয়ে। ৯৯ রানে দিন শেষ করা নিয়ে ড্রেসিংরুমের প্রতিক্রিয়া কী ছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে মুমিনুল হক বলেন, ‘একসময় মনে হচ্ছিল হয়ে যাবে। ওরা দেরি করায় হয়নি। খুব একটা চিন্তিত নই। তার ১০০-২০০ করার অভ্যাস আছে। তিনি প্যানিক করেন না। অন্য কেউ হলে হয়তো চিন্তায় থাকতাম। কিন্তু তিনি হওয়াতে আমরাও চিন্তায় নেই, তিনিও নেই।’
আরও পড়ুন: মুশফিকের এক রানের অপেক্ষা নিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
টেস্ট ম্যাচে প্রতিদিনের নির্ধারিত ওভারের কোটা থাকে ৯০ ওভার। অনেক সময় বিশেষ পরিস্থিতিতে তার বেশিও খেলা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে দুই অধিনায়কের সম্মতির দরকার পড়ে। আজ দিনের খেলা শেষেও এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ ৯০ ওভারেই খেলা শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই সময়ে বাংলাদেশ আরেকটি ওভার খেলতে চেয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে মুমিনুল বলেন, ‘কে চাইবে না? এই সময়ে সবাই চাইবে। দুজনেরই মাইলফলক ছিল সামনে, সবাই চাইবে। ওরা খেলা স্লো করে দিয়েছিল কিন্তু সবাই চাচ্ছিল।’
খেলা স্লো করে দিয়ে মুশফিকের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি বিলম্বিত করাটা পরিকল্পনা করে করা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্ন এসেছে আইরিশ স্পিন কোচ ক্রিস ব্রাউনের সামনেও। কারণ শেষ দুই ওভারে ফিল্ড সেটিং এবং বল করতে কিছুটা সময় নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। তবে আইরিশ কোচ সরাসরি এটা স্বীকার না করলেও খেলাটা পরবর্তী দিনে নিয়ে গিয়ে মোমেন্টাম ভাঙার যে একটা চেষ্টা তার দল করেছে, সেটা তার বক্তব্যেও স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ‘আমার এমন মনে হয় না। হয়তো তারা (আইরিশ খেলোয়াড়রা) ভিন্ন ভিন্ন ফিল্ডিং সেট করে দেখছিল। মুশফিক ভালো খেলেছে, তাকে কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে (সেঞ্চুরির)। লিটন দাসের সঙ্গে তার জুটিটা দুর্দান্ত ছিল। আমরা আগামীকাল মাঠে নেমে তাদের জুটিটা ভাঙার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ, একই গ্রুপে বাংলাদেশ-ভারত
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৪






Bengali (BD) ·
English (US) ·