পুলিশের মতে, উদ্ধার অভিযানের সময় আর্য এয়ারগান ব্যবহার করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান, যার ফলে পুলিশও এক রাউন্ড গুলি চালায়।
একজন কর্মকর্তা জানান, প্রথমে তারা জিম্মি-গ্রহীতার সাথে আলোচনার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি সেই সুযোগ না দেয়ায় তারা ‘বল প্রয়োগ’ করে ভবনে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন:মুম্বাইয়ে অপহরণকারীর ভিডিও প্রকাশ, নাটকীয় জিম্মি পরিস্থিতির পর ২০ শিশু উদ্ধার
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির মতে, নাটকীয় সংঘর্ষটি ঘটে আরএ স্টুডিও নামে একটি ছোট ফিল্ম স্টুডিওর ভেতরে, যেখানে আর্য একদল শিশুকে ‘অডিশন’ দেয়ার জন্য প্রলুব্ধ করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রায় দুই ঘন্টা ধরে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল এবং তারপর তাদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, পোয়াই থানার একটি দল দুপুর ১ টা ৪৫ নাগাদ একটি কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আর্যর সাথে আলোচনা শুরু হয়, কিন্তু তিনি শিশুদের ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান। যখন তিনি তাদের ক্ষতি করার হুমকি দেন, তখন পুলিশ জোর করে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ১৭ জন শিশুকে নিরাপদে উদ্ধার করে।
ঘটনার আগে, আর্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তিনি ‘আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিবর্তে’ জিম্মি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভিডিওতে রোহিত বলেন, ‘আমি রোহিত আর্য। আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার পরিবর্তে, আমি একটি পরিকল্পনা করেছি এবং এখানে কিছু শিশুকে জিম্মি করে রাখছি।’ আমি সন্ত্রাসী নই। আমার কিছু প্রশ্ন আছে, নৈতিক দাবি আছে। যার জবাব পেতে শিশুদের জিম্মি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুন:দিল্লির বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর চেষ্টাও ব্যর্থ!
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এয়ারগান এবং কিছু রাসায়নিক পাত্র উদ্ধার করেছে, যা তদন্তকারীরা মনে করেন, তিনি অফিসারদের হুমকি দিতে ব্যবহার করেছিলেন। পাওয়াইয়ের একটি আবাসিক ভবনের নিচতলায় অবস্থিত আরএ স্টুডিওতে একটি ওয়েব সিরিজ অডিশনের জন্য শিশুদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

৩ সপ্তাহ আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·