মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমি উর্মি এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আলেয়া বেগম ওরফে আলো বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
অপর ৬ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পারোয়ানার নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. নজরুল ইসলাম।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলেয়া বেগম (৩৫) সদর উপজেলার চরবেশনাল গ্রামের মৃত ওয়ালিদ বেপারীর স্ত্রী। অপর পলাতক আসামিরা হলেন একই গ্রামের মৃত মোসলেম আখনের ছেলে আতু ওরফে হাতু (৪৫), টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পুরা গ্রামের জৈনদ্দিন ঢালীর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৯), চর বেশনাল গ্রামের সবদু খন্দকারের ছেলে আলামিন খন্দকার (৩৩), জুলহাস আকনের ছেলে শহর আলী (২২), তোতা আখনের ছেলে শহিদ আখন (৩৫), খোরশেদ দেওয়ানের ছেলে চাঁন মিয়া দেওয়ান (২০)।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে বাদীকে মারধর, ২ ব্যক্তির কারাদণ্ড
মামলা ও আদালত সূত্রে জানাগেছে, ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর সদর উপজেলার আকাল মেঘ পলাশপুর গ্রামের আমজাদ বেপারীর ছেলে ওয়ালিদ বেপারী (৩৮) শশুড় বাড়ি যাওয়ার উদেশ্যে বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি।
পরে ৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টার দিকে এলাকার লোকজনের কাছে জানতে পারে উপজেলার দক্ষিণ চর বেশনাল চকের মাঝখানে কচুরিপানা ভত্তি একটি ডোবানালার পাশে শরীরের বিভিন্ন অংশে পচাগলা অবস্থায় একটি লাশ পরে আছে। এই সংবাদ পেয়ে ওয়ালিদ বেপারীর মা বাবা ও বোনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ব্যাক্তির লাশ শনাক্ত করেন।
পরে পুলিশ এসে মৃত ওয়ালিদের লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে সুরাতাহাল ও ময়না তদন্ত করে। এ ঘটনায় ওয়ালিদ বেপারীর মা হাফেজা খাতুন (৬৫) বাদী হয়ে ওই দিন রাতে মুন্সীগঞ্জ থানায় ছেলের হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামি মোহাম্মদ হোসেনকে আটক করলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলে আসামির কথামতো অপর আসামিদের পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠায়। এ ঘটনায় আদালত ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে ওই রায় ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজ আদালত হত্যা মামলায় ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ অপর ধারায় প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
]]>