মিয়ানমারের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে তীব্র ক্ষোভ মানবাধিকারকর্মীদের

১ সপ্তাহে আগে
মিয়ানমারের জান্তা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অর্থ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেয়া।

জান্তার সাথে তাদের গোপন যোগসূত্রের কারণে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জো বাইডেন প্রশাসন মিয়ানমারের চার ব্যবসায়ীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে অস্ত্র, বিমান এবং প্রযুক্তি সরবরাহ যা মিয়ানমারের বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর সেনাবাহিনী নিজ জনগণকে হত্যা করতে ব্যবহার করে।

 

গত মাসে জান্তা বাহিনীকে অস্ত্র, বিমান ও প্রযুক্তি সরবরাহের অভিযোগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা দুই ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক আইন সংস্থা ফেরারি এ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস।

 

যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে মানবাধিকারকর্মীরা। উদ্বেগের কারণ তালিকা থেকে বাদ দেয়া সবাই জান্তা ঘনিষ্ঠ এবং অন্তত তিনজন সামরিক জান্তাকে অস্ত্র সরবরাহের সাথে জড়িত। একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুজ।

 

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সফর করবে আসিয়ান প্রতিনিধি দল

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব অস্ত্র বেসমারিকদের দমন পীড়নের উদ্দেশে ব্যবহৃত হত। জান্তা-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার মানে হলো তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের দায় থেকে মুক্তি দেয়া। যা মিয়ানমারের চলমান সংকটকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে।

 

এদিকে দেশটির আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী হতে আগ্রহী মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, অ্যাটর্নি-জেনারেল এখন থেকে নিজ নিজ আসনে দলীয় সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারবেন বলে জানিয়েছে জান্তা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটের প্রচারণা করতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি নিতে হবে।

 

এদিকে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বেহাত হওয়া ভূখন্ড ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে জান্তা সরকার। এরই মধ্যে দেশটির কায়াহ রাজ্যের ডেমোসো উপশহর পরিণত হয়েছে মৃত্যুপূরীতে। ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

 

আরও পড়ুন: থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে থাই রাজপরিবারকে অবমাননার মামলা খারিজ

 

জান্তা বাহিনীর আক্রমণে গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। অনাহার আর আতঙ্কে দিন পার করছে শিশুরা। সামরিক জান্তার দাবি পুরো উপশহরটি দখল করেছে তারা। তবে, স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর দাবি, বাস্তবে কেবল ফাঁকা হয়ে যাওয়া শহরের কিছু অংশেই অবস্থান করছে সেনারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন