মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত সেই বিজিবি সদস্যের মৃত্যু

৩ সপ্তাহ আগে
বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেনের ২০ দিন পর ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

নায়েক মো. আক্তার হোসেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নে কর্মরত সদস্য ছিলেন। তিনি ভোলা জেলার বাসিন্দা।

 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।

 

তিনি বলেন, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য নায়েক আক্তার হোসেনকে গত ১৩ অক্টোবর উন্নত চিকিৎসার জন্য রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচ থেকে হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে গিয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ( সিএমএইচ ) ভর্তি করা হয়। সেই থেকে সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নায়েক আক্তার হোসেন মারা যান।

 

আরও পড়ুন: অভিনব কৌশলে বাংলাদেশে প্রবেশ ভারতীয় নাগরিকের, ধরল বিজিবি

 

লে. কর্নেল খায়রুল আলম জানান, বিজিবি সদস্যের মরদেহ ঢাকাস্থ সিএমএইচের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে মরদেহ ভোলা জেলার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে সামরিক মর্যাদায় তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।

 

আরও পড়ুন: লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা, আহত বিজিবির ৪ সদস্য

 

এর আগে গত ১২ অক্টোবর সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বিজিবির একটি দল টহল দিচ্ছিল। এসময় মিয়ানমারের  আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা একটি মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবি সদস্য আক্তার হোসেন আহত হয়ে বাম পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং অপর পা-টিও ক্ষত-বিক্ষত হয়। পরে বিজিবি সদস্যরা আহত আক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচে ভর্তি করে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন