বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে শাহ আলী থানাধীন উত্তর নবাবেরবাগ সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দারুস সালাম জোনের সহকারী কমিশনার ইমদাদ হোসেন বিপুল জানান, শাহ আলীতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দিতে আসে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে পানিতে লাফ দেন সাইয়াফ। সাঁতার না জানায় সে ডুবে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাইয়াফ নেভাল একাডেমি কলেজের শিক্ষার্থী। এসময় আটক হন ইংরেজি মিডিয়াম একাডেমিয়ার শিক্ষার্থী সানি। রাতে পার্টি করানোর চুক্তিতে বাসে আগুন দিতে রাজি হন তারা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের রেললাইনে আগুন
শাহ আলী থানা সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা বাসে কয়েকজন যুবক প্লাস্টিকের বোতলে করে কেরোসিন ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে আসলে তারা দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে একজনকে হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় তাদের একজন প্রাণভয়ে তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেন এবং অন্য একজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সাঁতার না জানায় নদীতে ঝাঁপ দেয়া দুষ্কৃতকারী পানিতে ডুবে যান। পরবর্তীকালে উপস্থিত লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন আটক দুষ্কৃতকারীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে থেমে থাকা ট্রাকে দুর্বৃত্তদের আগুন
ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, নাশকতামূলক এই ঘটনায় জড়িত পলাতক অপর দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
]]>
৩ দিন আগে
৩








Bengali (BD) ·
English (US) ·