বুধবার (৪ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৮ জিলহজ মিনায় আগমনের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি সরকারের নির্দেশনায় মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত থেকেই হাজিরা মিনায় আসতে শুরু করেন। তাদের আগমন নির্বিঘ্ন করতে এরূপ নির্দেশনা জারি করে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
মিনার বিস্তীর্ণ প্রান্তর এখন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত। বিত্তবৈভব, কামনা-বাসনাকে পরিত্যাগ করে হাজিরা আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমাপ্রত্যাশী। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় হাজিদের মন ব্যাকুল। তারা পাপতাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।
হাজিদের পরিধেয় সেলাইবিহীন শুভ্র দু’টুকরো কাপড়। আজ তারা ধনসম্পত্তির জন্য লালায়িত নয় মোটেও। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে চায়। তারা আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে পরিশুদ্ধ হতে চায়। সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হতে চায়।
আরও পড়ুন: মক্কায় ঢোকার আগেই আড়াই লাখের বেশি ‘অবৈধ’ হজযাত্রীকে ফেরত পাঠাল সৌদি
মিনা থেকে বুধবার রাতেই আরাফাতে রওনা হবেন হাজিরা। ভিড় এড়াতে আগেভাগেই হাজিদের আরাফাতে নিতে বলেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আগামীকাল ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্বে কিছু সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। এরপর হাজিরা মাগরিবের নামাজ না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করবেন।
এ বছর সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে এসেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।