মাহে রবিউল আউয়ালে করণীয় ও বর্জনীয়

১ সপ্তাহে আগে
রবিউল আউয়াল মানব ইহিহাসের একটি উজ্জ্বলতম মাস। এ মাসে মহানবি সা.-এর মোবারক জন্ম, হিজরত ও ওফাত হয়েছে। এ মাস যেমন আনন্দের তেমনি বেদনার। সেই সাথে এ মাস প্রিয় নবির আদর্শ বাস্তবায়নে সর্বত্যাগী হওয়ার পয়গামও ধারণ করে।

নবী সা.-এর ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ। বর্তমানে নবি সা.-এর ভালোবাসার নামে এ মাসে এমন কিছু কাজ দেখা যাচ্ছে যা সম্পূর্ণ নবআবিষ্কৃত এবং বিদআত। সাহাবা তাবেঈগণের পুণ্য যুগে এর কোনোই অস্তিত্ব ছিল না। এর দ্বারা সমাজে গোমরাহী ছড়িয়ে পড়ছে। তাই আসুন! সকল প্রকার বিদআত বর্জন করে সহিহ সুন্নাহের উপর আমল করি। আল্লাহ তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

নবীর ভালবাসা প্রকাশের পদ্ধতি

 

নবী সা. কে কীভাবে ভালোবাসতে হবে? এর বিবরণ দিয়ে ইরশাদ করেন- যে আমার সুন্নত এবং আদর্শকে জিন্দা করে সেই আমাকে ভালোবাসে। আর যে আমাকে ভালোবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। (সুনানে তিরমিজি ২৬৭৮)

 

আরও পড়ুন: অফিসে কাজের ফাঁকে সহজ জিকির

 

তাই আসুন! সত্যিকারার্থে নবীকে ভালোবাসি। আমাদের কথা-কাজ, স্বভাব-চরিত্রে নবির আদর্শকে গ্রহণ করি। সমগ্র বিশ্বে নবির সুন্নত জিন্দা করার মেহনত শুরু করি এবং তার উপর বেশী বেশী দরুদ শরিফ পড়ি। এ মাসে কোনো বিদআত কাজ না করা। সব ধরণের বিদআত থেকে নিজেদের হেফাজতে রাখা। 

 

বিদআতের ক্ষতি

 

রসুল সা. ইরশাদ করেন- আল্লাহ তাআলা বিদআতির নামাজ, রোজা, দান-সদকা, হজ-উমরা, জিহাদ এবং ফরজ ও নফল কোন ইবাদতই কবুল করেন না। বিদআতিরা ইসলাম থেকে এমন ভাবে বেরিয়ে যায় যেমন ভাবে আটার খামিরা থেকে চুল বেরিয়ে যায়। (ইবনে মাজাহ-৪৬০৭)


লেখক: মুফতি জুবায়ের বিন আব্দুল কুদ্দুছ শিক্ষক, লালবাগ মাদ্রাসা, ঢাকা, খতিব, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ, ঢাকা, পরিচালক, দাওয়াতুস সুন্নাহ বাংলাদেশ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন