সম্প্রতি মালয়েশিয়ার অতি ধনী ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
তারই অংশ হিসেবে গত বছর প্রবীণ রাজনীতিক মাহাথিরের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ইব্রাহিমের একজন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাথির তার বিরুদ্ধে এই তদন্তের ‘একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা রয়েছে’।
মাহাথির ও আনোয়ারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ১৯৯৮ সালে মাহাথির আনোয়ারকে ডেপুটি পদ থেকে বরখাস্ত করেন এবং পরে আনোয়ার দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হন।
শুধু মাহাথিরই নয়, তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। তার দুই ছেলেকে সম্পদের বিবরণী জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (এমএসিসি) প্রধান আজম বাকি বলেন, মাহাথিরের মালিকানায় বিদেশে বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে সম্পদ গড়ার যে অভিযোগ, এখন সেটাই খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আরও পড়ুন: ইউএপির সমাবর্তনে মাহাথির মোহাম্মদ / জ্ঞানকে মানবতার কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, এই বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে তা পরে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এমএসিসি প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মাহাথিরের দুই ছেলে মোখজানি ও মিরজানের ১.২ বিলিয়ন রিংগিতের সম্পদ রয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যে সম্পদ থাকার কথা অস্বীকার করেন।
]]>