মাস্কের সঙ্গে দূরত্বের পর জাকারবার্গকে কাছে টানছেন ট্রাম্প!

৩ সপ্তাহ আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিদের হোয়াইট হাউসে আতিথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ কর্তারা এক নৈশভোজে যোগ দিলেও অতিথিদের তালিকায় ছিলেন না এক সময়ের ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক।

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতি (৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন মেটার মার্ক জাকারবার্গ, অ্যাপলের টিম কুক, গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের বিল গেটস, ওপেনএআই-এর স্যাম অল্টম্যানসহ একাধিক টেক জায়ান্ট।

 

এ সময় ট্রাম্প প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের অঙ্ক জানতে চান। জবাবে মেটার প্রধার মার্ক জাকারবার্গ জানান, তার প্রতিষ্ঠানআগামী কয়েকবছরে ৬০০ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করবে, একই পরিমাণের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অ্যাপলের টিম কুক।

 

আরও পড়ুন: হামাসকে ‘শেষবারের মতো সতর্ক’ করলেন ট্রাম্প

 

গুগলের সুন্দর পিচাই উল্লেখ করেন ২৫০ বিলিয়ন ডলার, আর মাইক্রোসফট প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা জানান, বছরে ৮০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের কথা। ট্রাম্প প্রশাসনের এআই-নীতিকে স্বাগত জানিয়ে তারা জানান, দেশজুড়ে ডেটা সেন্টার, উৎপাদন খাত ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশাল অংকের বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন।

 

আলোচনায় উঠে আসে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রযুক্তি খাতের বহুমুখী অবদান। জাকারবার্গ জানান, মেটা ও অন্যান্য কোম্পানিগুলো মিলে ২০২৮ সাল পর্যন্ত দেশজুড়ে ডেটা সেন্টার ও গবেষণায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করবে। গুগলের কর্মকর্তারা প্রশাসনের সঙ্গে গড়ে ওঠা ইতিবাচক সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরেন।

 

আরও পড়ুন: গোপনে দক্ষিণ কোরিয়া সফরের প্রস্তুতি ট্রাম্পের, জিনপিং ও কিমের সঙ্গে বৈঠকের গুঞ্জন!

 

একইভাবে, অ্যাপল প্রধান টিম কুক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত তাদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে আরও শক্তিশালী করছে। তবে টেক জায়ান্টদের নিয়ে বিশেষ এ আয়োজনে অনুপস্থিত ছিলেন টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক, যিনি একসময় ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

 

তাদের প্রকাশ্য সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর এবার তার আসন পূরণ করেন প্রতিদ্বন্দ্বী এআই উদ্যোক্তা স্যাম অল্টম্যান। সবমিলিয়ে, হোয়াইট হাউসের এ বৈঠককে ওয়াশিংটন ও সিলিকন ভ্যালির সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

 

সূত্র: এপি

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন