একটি সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দ্য হিন্দু জানিয়েছে, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ৮ম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের সাইডলাইনে এই দুই নেতার বৈঠক হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওমান সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সম্মেলনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। সম্মেলনে অন্তত ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অংশগ্রহণ করছেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বার্ষিক এই সম্মেলনে যোগ দেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্যারিস ও ওয়াশিংটন সফর শেষ করে জয়শঙ্কর জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেন। এরপর তিনি মাস্কাটে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের মন্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।
সম্প্রতি দিল্লিতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বক্তব্যকে ঘিরে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা। ওই ঘটনার পর শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত না রাখায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারতকে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে বিবৃতি না দেয়ার জন্য। তার মিথ্যা বক্তব্য বাংলাদেশে প্রভাব পড়েছে। শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য ছিল আক্রমণাত্মক। আমরা দেখব তিনি আগামীতে কেমন বক্তব্য দেন। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে ভারতীয় আটক, পতাকা বৈঠকে হস্তান্তর
গত ছয় মাসে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দ্বিপাক্ষিক সমঝোতামূলক সম্পর্ক তৈরি করতে পেরেছি। পরিবর্তনের সাইডইফেক্ট আমরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আর চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সঠিক পথেই আগাচ্ছে।’
এই অবস্থার মধ্যে মাস্কাটে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।
]]>