জেনে নিন এরকম সমস্যা থেকে সমাধানের উপায়গুলো-
১. মাসিক বাজেট তৈরি করুন: আয় ও খরচের একটি পরিষ্কার তালিকা তৈরি করুন। খরচকে দুই ভাগে ভাগ করুন-
প্রয়োজনীয়: বাড়ি ভাড়া, খাবার, যাতায়াত।
অপ্রয়োজনীয়: বাইরে খাওয়া-দাওয়া, বিনোদন। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে ফোকাস দিন প্রয়োজনীয় জিনিসে।
২. সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন: প্রতি মাসে আয়ের অন্তত ১০-২০% সঞ্চয়ের জন্য আলাদা রাখুন। সঞ্চয়ের টাকা এমন জায়গায় রাখুন যেখানে সহজে হাত দিতে পারবেন না। যেমন: ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট বা ডিজিটাল ওয়ালেট।
৩. অপ্রত্যাশিত খরচ এড়ান: ‘অফার’ দেখে বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে টাকা অপচয় করা এড়িয়ে চলুন। বড় কেনাকাটা করার আগে সেটি সত্যিই দরকার কিনা তা যাচাই করুন।
৪. বাড়তি আয়ের সুযোগ খুঁজুন: আপনার পেশার বাইরে কিছু ফ্রিল্যান্স কাজ বা পার্ট-টাইম কাজ করুন। হস্তশিল্প, অনলাইন পড়ানো, বা নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে আয়ের নতুন পথ বের করুন।
৫. ধার বা ঋণ ব্যবস্থাপনা করুন: ধার করার প্রয়োজন হলে পরিচিত কারও কাছ থেকে স্বল্প সুদে টাকা ধার করুন। কিন্তু ধার নেয়ার আগে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন, কিভাবে এবং কখন তা ফেরত দেবেন।
৬. কেনাকাটায় সচেতন হন: মাসের শুরুতেই প্রয়োজনীয় জিনিস একসাথে কিনুন, এতে মাসের শেষে অতিরিক্ত খরচ এড়ানো যায়। পাইকারি দামে বা ডিসকাউন্ট অফারে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনুন।
৭. জরুরি ফান্ড তৈরি করুন: যে কোনো সময়ে জরুরি অবস্থার জন্য আলাদা ফান্ড রাখুন। এই ফান্ডে ধীরে ধীরে টাকা জমা করুন, মাসে ৫০০-১০০০ টাকা হলেও শুরু করুন।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় ভালো লেখার জন্য জরুরি ৯ পরামর্শ
৮. প্রতিদিন ব্যয় লিখে রাখুন: প্রতিদিন খরচের হিসাব রাখুন। মাস শেষে দেখে বুঝতে পারবেন কোন জায়গায় টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
]]>