মাসের পর মাস সড়কে হাঁটুপানি, ভোগান্তির জ্বালা আর কত দিন?

৪ সপ্তাহ আগে
প্রতি বছর মাসের পর মাস পানিতে ডুবে থাকে সড়ক। জলাবদ্ধতার কারণে পানি নিমজ্জিত সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙে খালখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে জমে থাকা হাঁটুপানিতে চরম দুর্ভোগে বসবাস করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সাতটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

গত কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তিতে রয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা, ছত্রাজিতপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।


জানা যায়, ঢোড়বোনা জামে মসজিদ মোড় হতে ছত্রাজিতপুর বোর্ড মোড় সড়কের ঢোড়বোনা ডাম্ফুপাড়া এলাকায় এই জলাবদ্ধতা থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। একবার বৃষ্টি হলেই ১৫-২০ দিন ধরে সড়কের ওপরে হাঁটুভর্তি পানি জমে। সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন জলাবদ্ধতা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের।


তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা থাকলেও টনক নড়ে না কর্তৃপক্ষের। দফায় দফায় অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।


পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, ঢোড়বোনা ডাম্ফুপাড়া সড়ক ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত চলাচল করে নয়ালাভাঙ্গা, ছত্রাজিতপুর, ধাইনগর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এই সড়ক দিয়ে মর্দানা, বিরামপুর, চন্ডীপুর, লাভাঙ্গা, বাবুপুর, রকিসনগর, ছত্রাজিতপুর, বহালাবাড়ি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কের ওপর পানি জমে থাকার কারণে বিভিন্ন সময়ে ঘটে নানা দুর্ঘটনা। এতে আহত হন পথচারী ও গাড়ি চালকরা।


আরও পড়ুন: স্কুলের আঙিনায় কোমর পানি, পড়াশোনা ছেড়ে মাছ ধরায় ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা!


স্থানীয় বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছত্রাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও রানিহাটি বাজার থেকে সহজে যাতায়াত করা যায় বলে এই সড়ক ব্যবহার করেন কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু ঢোড়বোনা ডাম্ফুপাড়া এলাকায় বর্ষার সময়ে টানা কয়েকমাস সড়কের ওপর পানি জমে থাকে। নানারকম ভোগান্তি ও হয়রানীতে পড়তে হয়। খালখন্দের কারণে গাড়ি থেকে পড়ে আহত হন যাত্রীরা।’


পথচারী নয়ন আলী বলেন, ‘এই সড়কের ১০ কিলোমিটার পথ নিয়মিত যাতায়াত করি। কিন্তু ঢোড়বোনা ডাম্ফুপাড়া এলাকায় আসলেই আতঙ্কে থাকি। কারণ জলাবদ্ধতার কারণে পানির নিচের সড়কের অবস্থা বোঝা যায় না, ফলে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের এনিয়ে কোনো ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায় না।’


 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জলাবদ্ধতার কারণে পানির নিচের সড়কের অবস্থা বোঝা যায় না, ফলে গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: সময় সংবাদ


স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, হরহামেশাই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায় এই সড়কে। সাইকেল ও মোটরসাইকেল পথচারীদের অনেকের মোবাইল খালখন্দে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এমনকি পানি জমে আশপাশের বসতবাড়িতেও উঠে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের পাশাপাশি সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের দাবি জানান তিনি।


আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে জামালপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র


জেলা যুবদলের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম রেজা বলেন, ‘একটি সড়কের কিছু অংশে জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা ও পথচারীদের। আমরা এলজিইডির সঙ্গে এনিয়ে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন তারা।’


এ নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


তবে এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সরোজ আলী বলেন, ‘সড়কটির মেরামতের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।’

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন