বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হওয়া অভিযানে পুত্রজায়া ও জোহর থেকে মোট ৪৭ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা ও সদস্য অংশ নেন। এই সমন্বিত অভিযানটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশীয়, মিয়ানমার, চীনা, থাই, ভিয়েতনাম এবং লাওসের নাগরিক ছিলেন। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। তারা সবাই ম্যাসেজ থেরাপিস্ট হিসাবে কাজ করছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় হালাল শোকেসের ২১তম আসরে বাংলাদেশ
ইমিগ্রেশন বিভাগের তথ্য মতে, আটককৃতরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ম্যাসেজ কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। এই অভিযানে ম্যাসেজ পার্লারগুলোর তিনজন স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ককেও আটক করা হয়েছে।
জাকারিয়া জানান, একটি ম্যাসেজ পার্লারে ম্যাসেজ ও রিফ্লেক্সোলজি সেবার পাশাপাশি বাষ্পস্নানাগারের ব্যবস্থা ছিল। এসব সেবার জন্য ৯২ থেকে ১৮০ মালয়েশীয় রিঙ্গিত পর্যন্ত নেয়া হতো এবং বাষ্পস্নানাগার প্যাকেজের জন্য ৩০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত বিল করা হতো।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে কীভাবে ভোট দেবেন, জানালেন ইসি আনোয়ারুল
আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইন এবং ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সবাইকে আরও তদন্তের জন্য সেটিয়া ট্রোপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
জনসাধারণের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান সফল হওয়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে অবৈধ অভিবাসী, মানবপাচার এবং চোরাচালান দমনে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
]]>