সোমবার (৯ জুন) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত সকলের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ এবং সার্বিক সহায়তা সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, কিছু যাত্রী নিজেদের চেষ্টায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন, আবার কেউ কেউ সংঘর্ষের ফলে বাস থেকে ছিটকে পড়েন। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আহত বা নিহত হয়েছেন কি না তা এখনও জানা যায়নি।
মালয়েশিয়া ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক দাতুক নর হিশাম মোহাম্মদ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেখতে পান যে কিছু যাত্রী নিজেদের চেষ্টায় বেরিয়ে এসেছেন। কিছু যাত্রী বাস থেকে ছিটকে পড়েছেন এবং কিছু যাত্রী তখনও বাসের ভেতরে আটকে আছেন।
তিনি আরও জানান, গেরিক এবং জেলি ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশন থেকে কর্মকর্তারা এবং কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মোট ১৭ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী, ১০ জন রয়্যাল মালয়েশিয়ান পুলিশ সদস্য, ২১ জন মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ৪ জন সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের সদস্য উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
দুটি গাড়ির সংঘর্ষের ফলে বাসটি উল্টে গিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। বাস এবং পেরোডুয়া আলজা (কার) একই লেন অর্থাৎ জেলি থেকে গেরিকের দিকে যাচ্ছিল।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মোট ৪৮ জন। এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছেন তারা। এছাড়া বাসের ৩১ জন যাত্রী আহত হয়েছেন এবং পেরোডুয়া আলজার ৩ জন যাত্রী সামান্য আহত এবং ১ জন যাত্রীর হাত ভেঙে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।
হিশাম মোহাম্মদ আরও জানান, আহতদের মধ্যে যারা নিজেদের চেষ্টায় বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, তাদের ঘটনাস্থলে থাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেন এবং নিহতদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
]]>