বুধবার (২৫ জুন) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে মালয়েশিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগ (ডিওএসএম)। তথ্য অনুযায়ী, এই বিপুল বিনিয়োগের পেছনে প্রধান চালিকা শক্তি ছিল দেশটির পরিষেবা খাত এবং সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো এশীয় অর্থনীতির জোরালো আগ্রহ।
মালয়েশিয়ার পরিসংখ্যান বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে মালয়েশিয়ায় বিদেশি সংস্থাগুলোর মোট আয় বেড়ে ৯৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন রিঙ্গিতে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৩ সালের ৮৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিতের তুলনায় বেশি। এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ ছিল ইক্যুইটি ও বিনিয়োগ তহবিল শেয়ার থেকে আয়।
বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশের মোট বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ৯৯৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন রিঙ্গিতে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরে ছিল ৯২৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ১৭০০ রিঙ্গিতের নিচে মজুরি দিলে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ
২০২৩ সালে মালয়েশিয়ার পরিষেবা খাতের মোট বাণিজ্য ৪৩৪ বিলয়ন রিঙ্গিত থেকে ২০২৪ সালে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৪৯৭ দশমিক ৪ বিলয়ন রিঙ্গিতে পৌঁছেছে। এই খাত দেশের বর্তমান মূল্যের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ অবদান রেখেছে।
এছাড়া দেশটির পরিষেবা রপ্তানি আগের বছরের ১৯৫ বিলিয়ন রিঙ্গিত থেকে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ২৪২ দশমিক ৯ বিলিয়ন রিঙ্গিতে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে পরিষেবা আমদানিও ২০২৩ সালের ২৩৯ বিলিয়ন রিঙ্গিত থেকে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে ২৫৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন রিঙ্গিতে পৌঁছেছে।
মালয়েশিয়ার সেবা রপ্তানির জন্য সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ছিল তিনটি প্রধান গন্তব্য। পরিষেবা রফতানি আমদানির চেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে। তাই ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে ৪৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত থেকে ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন রিঙ্গিতে নেমে এসেছে। এটি মালয়েশিয়ার পরিষেবা খাতের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার শিক্ষাঙ্গনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সাফল্য
]]>