বুধবার (৮ অক্টোবর) এক সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে সাইফুদ্দিন নাসুশন জানান, এই নতুন পাসটি অ-নাগরিক নারী/পুরুষদের মালয়েশিয়ায় বসবাস এবং কাজ করার সুযোগ দেবে।
আবেদনকারীরা চাকরি বা নিজের উদ্যোগে কর্মসংস্থান যেকোনো ধরনের কাজ করে নিজেদের ভরণপোষণ চালিয়ে যেতে পারবেন। রেসিডেন্ট পাসটি পাঁচ বছরের জন্য ইস্যু করা হবে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে নবায়ন করা যাবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার এই ধরনের আবেদন বিবেচনা করার সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় মালয়েশিয়ার নাগরিক শিশুটির সর্বোত্তম স্বার্থ ও কল্যাণকে, যাতে তাদের হেফাজতের অধিকার ও ভালো থাকা সুরক্ষিত থাকে।
আরও পড়ুন: ওমানে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৭ বাংলাদেশি নিহত
তিনি আরও জানান, এই সুবিধাটি দেয়া হয়েছে মূলত মালয়েশিয়ান নাগরিকদের সন্তান আছে এমন বিদেশি স্বামী/স্ত্রীদের স্বাবলম্বী হতে এবং তাদের পরিবারকে সমর্থন জানাতে সাহায্য করার জন্য।
এটাকে তিনি ‘সামগ্রিক মাদানি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন, যা মানবিক মূল্যবোধ ও জনকল্যাণের ওপর জোর দেয়। এর মাধ্যমে এসব ব্যক্তিরা তাদের মালয়েশীয় নাগরিক সন্তানের প্রতি পিতামাতার দায়িত্ব বৈধভাবে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে পালন করতে সক্ষম হবেন।
এর আগেও একজন বিদেশি যখন মালয়েশিয়ান নাগরিককে বিয়ে করতেন, তখন তারা ‘স্পাউস অব মালয়েশিয়ান সিটিজেন’ বা সোশ্যাল ভিজিট পাস-এর জন্য আবেদন করতে পারতেন। এই পাস তাদেরকে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে বসবাস ও ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে কাজ করার অনুমতি দিত। সাধারণত এই পাস প্রতিবছর নবায়ন করা যেত, যদি বিবাহ বৈধ থাকে এবং দম্পতি একসাথে বসবাস করতেন।
তবে যদি বিদেশি স্বামী বা স্ত্রী তাদের মালয়েশীয় সঙ্গীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, তবে তাদের ‘স্পাউস অব সিটিজেন পাস’ নবায়নের যোগ্যতা বাতিল হয়ে যেত। সাইফুদ্দিন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যেহেতু তারা আর আইনগতভাবে স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে বিবেচিত নন, তাই সেই পাসের বিশেষাধিকারও আর প্রযোজ্য হয় না।
আরও পড়ুন: জালিয়াতি মোকাবিলায় বিমানবন্দরগুলোতে ডিজিটাল আইডি ব্যবস্থা বসাচ্ছে মালয়েশিয়া
বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিদেশি স্বামী/স্ত্রীদের জন্য দুটি বিকল্প পথ খোলা রয়েছে; নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তারা বিধবা/বিপত্নীক পাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন অথবা তারা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের সাপেক্ষে রেসিডেন্ট পাসের জন্য আবেদন জমা দিতে পারবেন।
নতুন সুযোগটি মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী বহু অ-নাগরিক স্বামী/স্ত্রীকে অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দেবে এবং তাদের মালয়েশিয়ান সন্তানদেরও স্থিতিশীল জীবনযাপন নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
]]>