মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগে সহস্রাধিক নিয়োগকর্তা আটক

৩ সপ্তাহ আগে
মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে গত ছয় মাসে সহস্রাধিক নিয়োগকর্তা আটক করা হয়েছে। দেশটির অভিবাসন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান। তিনি জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ বা আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ১ হাজার ৫ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে। 

 

আটক হওয়া নিয়োগকর্তারা রেস্তোরাঁ, কারখানা ও খুচরা দোকানসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের বেশিরভাগই স্থানীয়, যারা বৈধ কাগজপত্রবিহীন বিদেশি নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছিলেন।

 

একই সময়ে সারা দেশে ৬ হাজার ৯১৩টি অভিযান চালিয়েছে, যেখানে ৯৭ হাজার ৩২২ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই শেষে অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধের সন্দেহে ২৬ হাজার ৩২০ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

 

জাকারিয়া শাবান জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং স্থানীয় কর্মীদের জন্য কাজের সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া গিয়ে ১৬ বছর ধরে নিখোঁজ মহিউদ্দিনের সন্ধান চায় পরিবার

 

এই কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না এবং জোরদার তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। অভিবাসন বিভাগ দেশের ২০০টিরও বেশি চিহ্নিত হটস্পট এলাকার ওপর নজর রাখছে। যার মধ্যে প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকাও রয়েছে।

 

তিনি জানান, অনেক নিয়োগকর্তা অবৈধ অভিবাসীদের কম মজুরিতে কাজ করিয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘন করছিলেন। এর ফলে একদিকে যেমন স্থানীয় শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়ছিল। 

 

আটক হওয়া নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং মানব পাচার বিরোধী আইন ২০০৭-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বর্ণিল আয়োজনে ‘বাংলাদেশ উৎসব’ উদযাপন

 

এই কর্মকর্তা নিয়োগকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন সকল নিয়ম-কানুন মেনে বৈধভাবে শ্রমিক নিয়োগ করেন এবং দেশের আইন শ্রদ্ধার সাথে পালন করেন। এই পদক্ষেপের ফলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং স্থানীয় শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন