এই চুক্তি কার্যকর হলে আবেদনের ভিত্তিতে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা দেশে ফিরে সাজার বাকি মেয়াদ পার করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মালদ্বীপের ইমিগ্রেশন কন্ট্রোলার জেনারেল ও কারা কর্মকর্তা। এ সময় তাকে দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের যেসব মামলা চলমান আছে তা দ্রুত সম্পন্ন করাসহ ছোটখাট কোন অপরাধে মামলা না করে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফের সিআইপি সম্মাননা পেলেন প্রবাসী বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আহমেদ মোত্তাকি
এছাড়া মামলা পরিচালনায় আর্থিক সঙ্গতি নেই এমন প্রবাসীদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইনজীবী প্রদানের অনুরোধ জানান বাংলাদেশি হাইকমিশনার।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ বলেন, দেশ থেকে যারা আসবেন, বিমানবন্দরে অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো প্যাকেট বা অন্য কিছু নেবেন না। পরে দেখা গেছে মাদকের মামলায় যারা আটক হয়েছেন তাদের বেশ কয়েকজন এরকম ভুক্তভোগীর শিকার হয়েছেন।
তুচ্ছ ঘটনায় প্রবাসীদের মারামারি না করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের পরামর্শ দিয়ে হাইকমিশনার বলেন, আইন অনুযায়ী মালদ্বীপে মারামারি একটি বড় ধরনের অপরাধ। বিশেষ করে এসব ঘটনায় কোনো রক্তপাত ঘটলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। সেই জন্য কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ থাকলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা অনন্য: হাইকমিশনার সোহেল
বেশিরভাগ প্রবাসী মাদক, মারামারি ও শিশু নির্যাতন অপরাধে আটক রয়েছেন। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে না জড়িয়ে প্রবাসীদের সচেতনতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।