মালদ্বীপ মানেই ছোট ছোট অসংখ্য দ্বীপ এবং চারদিকে নারকেল-সুপারি গাছ আর নীল সাগর থেকে ভেসে আসা মিষ্টি হাওয়া, যার অর্থনীতির অন্যতম খাতই হচ্ছে পর্যটন।
এ কারণে পর্যটন ও বাণিজ্য শিল্পের চাহিদা মেটাতে সব ধরনের আয়োজন নিয়ে বসে থাকে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি। এ কারণেই দেশটি এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর পাশাপাশি সারাবিশ্বের সব পর্যটন ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাদেরকে প্রতিবছরই পুরস্কৃত করেন সাউথ এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও ভুটানের মোট ২৪জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হলো।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া / বিদেশি কর্মী নিয়োগ পদ্ধতি সংস্কারের আহ্বান মানবাধিকার গোষ্ঠীর
শনিবার (১৭ মে) রাতে মালদ্বীপের পর্যটন নগরী মালের ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটোরিয়ামে যৌথ উদ্যোগে সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ এর আয়োজন করা হয়। আয়োজনের পুরোভাগে ছিল এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট ও সাউথ এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ।
এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিটের নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম ফারুক মজনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রী হারিস মোহাম্মদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটির অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আহমেদ সাঈদ মুস্তফা, খেলাধুলা, ফিটনেস ও পুনর্নির্মাণ প্রতিমন্ত্রী হোসাইন নিহাদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আব্দুল জলিল ইসমাইল, মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশে মিশনের উর্ধতন কর্মকর্তা, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহা-ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম, নামকো গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথিবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় শপিংমলে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ আটক ১৪৩
অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য দোয়া ও প্রার্থনা শেষে আয়োজক এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট এর নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম ফারুক মজনু বলেন, পর্যটন ও বাণিজ্যের উপর জোর দিলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। একই সাথে বিদেশি বিনিয়োগ নীতি ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করা এখন সময়ের দাবি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানটি ভারতীয় জি বাংলার জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ডক্টর মৌ ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় মালদ্বীপ,নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।