মার্টিনেজের পরীক্ষা নিতে নিতে ‘ফেল’ করালো পিএসজি

১ সপ্তাহে আগে
পার্ক দে প্রিন্সেসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগটা হয়েছে অ্যাস্টন ভিলা ও পিএসজির মধ্যে, ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখে কেউ চাইলে লড়াইটা পিএসজি ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজেরও বলতে পারেন।

ঘরের মাঠে অ্যাস্টন ভিলার রক্ষণভাগকে প্রায় সারাক্ষণই ব্যতিব্যস্ত রেখেছে পিএসজি। আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজের পরীক্ষা নিতে নিতে ২৯ শটের মধ্যে পিএসজির ১০টিই ছিল অনটার্গেটে। যার তিনটি মার্টিনেজ সেভ করতে ব্যর্থ হন, স্বাগতিকরা ম্যাচটি জিতে ৩-১ গোলে। ৭ শটের মধ্যে অ্যাস্টর ভিলার ২টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। লড়াইটা মার্টিনেজ ও পিএসজির মধ্যেই নয় কি?


পিএসজি কি শুধু মার্টিনেজকেই ব্যতিব্যস্ত রেখেছে? না। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণই ছিল তাদের হাতে। বল দখল, পাসসংখ্যা কিংবা পাস অ্যাকুরেসির হিসাবে পিএসজি ঢের ঢের এগিয়ে ছিল।


এই জয় পিএসজিকে বায়ার্ন মিউনিখ, বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো একটি অনন্যতা এনে দিয়েছে। চতুর্থ ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক মৌসুমে তারা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের তিন ক্লাবকে (গ্রুপপর্বে ম্যানচেস্টার সিটি ও রাউন্ড অব সিক্সটিনে লিভারপুল) হারাতে সক্ষম হলো। কাজটি বায়ার্ন ২০১৩-১৪, বার্সা ২০১৮-১৯ ও রিয়াল ২০২১-২২ মৌসুমে করেছিল।


আরও পড়ুন: ডর্টমুন্ডকে বিধ্বস্ত করার রাতে রাফিনহা ছুঁলেন মেসির রেকর্ড


অনন্যতা অর্জনের ম্যাচে পিএসজি শুরুতে গোল হজম করে ফেলে। ২৫ মিনিটে অ্যারন রজার্স ভিলাকে লিড এনে দেন। দেসার দো ৩৯ মিনিটে মার্টিনেজকে স্তব্ধ করে পিএসজিকে সমতায় ফেরান। ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরের পোস্ট দিয়ে বল এমনভাবে জালে ঢোকান যে মার্টিনেজ প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়টুকু পর্যন্ত পাননি।


ম্যাচসেরা খাভিচা খাভারেস্টখেলিয়ার বুলেটগতির শটে হওয়া গোলটি আরও দৃষ্টিনন্দন। বাঁ দিক থেকে আক্রমণে উঠে মার্টিনেজের কাছ থেকে এত জোরে শট নেন যে, বল চোখের পলক পড়ার আগে জালে ঢুকে। যোগ করা সময়ে পিএসজির হয়ে নুনো মেন্ডেস তৃতীয় গোলটি করেন। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন