বিশ্বজুড়ে মার্কিন শুল্ক আরোপের নতুন সিদ্ধান্তকে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখছেন বিশ্বনেতারা। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা। এ অবস্থায় একদল যেখানে সমঝোতা করে সমাধানের পথে হাঁটতে চাইছেন, আরেক দল সেখানে পাল্টা শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিচ্ছেন।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, এই পদক্ষেপগুলো অন্যায্য বাণিজ্য নীতির প্রতিশোধ হিসেবে নেয়া হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট দয়া দেখিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকালে এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের কারণে অনিশ্চয়তা বাড়বে, যা বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে চীন।
আরও পড়ুন: হুমকি-ধামকি দিলেও রাশিয়ার ওপর শুল্ক চাপাননি ট্রাম্প!
এছাড়া ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, সিদ্ধান্তটি ভুল হয়েছে। তবে তিনি বাণিজ্য যুদ্ধ প্রতিরোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরও হাঁটছে একই পথে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, এই অন্যায় শুল্ক আরোপের জন্য মার্কিনিদের সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হবে। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বলেছেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে আগ্রহী, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
এদিকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানালেও এখনও নিজেদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে সন্দিহান বেশ কিছু দেশ। এই তালিকায় রয়েছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, থাইল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের
এর মধ্যে কেউ কেউ মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও মন্তব্য করেছেন।
]]>