মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মামলা

৩ সপ্তাহ আগে
গাজায় চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন সত্ত্বেও ইসরাইলের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ফিলিস্তিনিরা। মামলায় বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ইসরাইলি সামরিক বাহিনীকে সহায়তা দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছে বিদায়ী জো বাইডেন প্রশাসন।

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাঁচ ফিলিস্তিনি মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন। 

 

অভিযোগে আরও বলা হয়, অত্যাচার-নিপীড়ন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ইসরাইলের সামরিক ইউনিটগুলোকে তহবিল যোগানো নিষিদ্ধ করে আইন থাকলেই সেই আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুতিদের

 

মামলাটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গত শতকের ৯০-এর দশকে প্রণীত ‘লেহি আইন’-এর আওতায়। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নজিরবিহীনভাবে ইসরাইলের মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন যেভাবে বেড়েছে, তা ভয়ংকর। ইসরাইলের এই লঙ্ঘন ঠেকাতে পররাষ্ট্র দফতর চাইলে এই ‘লেহি আইন প্রয়োগ করতে পারত, কিন্তু তারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

 

গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে গাজায় সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক। জাতিসংঘ ও বিশ্বের প্রধান মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ নানা ধরনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।

 

গাজায় বসবাসকারী পেশায় শিক্ষক পরিচয়দানকারী মামলার একজন বাদীর ছদ্মনাম আমাল গাজা। এই নারী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় তার পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলা: ১৪ মাসে গাজায় নিহত ছাড়াল ৪৫ হাজার 

 

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার দুঃখ-কষ্ট ও আমার পরিবারের অকল্পনীয় ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরায়েলের ইউনিটগুলোর কাছে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।’ মামলার বিষয়ে জানতে আল জাজিরার তরফে যোগাযোগ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, বিচারাধীন মামলা নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করে না।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন