মার্কিন জাহাজে ফের হামলা চালানোর হুমকি হুতির

১ সপ্তাহে আগে
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর দিয়ে চলাচল করা মার্কিন জাহাজে ফের হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক ঘোষণায় গোষ্ঠীটির এক বার্তায় এই হুমকি দেয়া হয়।

হুতি বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি সত্ত্বেও এক্সনমবিল ও শেভরনসহ মার্কিন তেল কোম্পানিগুলোর তেলের জাহাজে হামলা চালাবে তারা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চার মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে ১৩টি মার্কিন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে হুতি।

 

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) হুতি-নিয়ন্ত্রিত হিউম্যানিটারিয়ান অপারেশনস কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ১৩ কোম্পানির পাশাপাশি ৯ ব্যক্তি ও দুটি জাহাজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘সামরিক নীতির আওতায় মোকাবেলা করা হবে।’ 

 

ঘোষণাটিকে কনোকোফিলিপস ও ডায়মন্ড এস শিপিংসহ মার্কিন তেল কোম্পানিগুলোর জন্য একটি পূর্ব সতর্কতা হিসাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কোম্পানিগুলোকে হুতি শত্রু বিবেচনা করছে এবং এখন থেকে আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবে।

 

আরও পড়ুন: গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহরের কিছু জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা ইসরাইলের

 

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় নভেম্বর থেকে ইসরাইল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে হুতি বিদ্রোহী। শুধু তাই লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র দেশগুলোর জাহাজগুলোও লক্ষ্যবস্তু হয়।

 

গোষ্ঠীটি জানায়, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হচ্ছে। যার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হুতির ওপর যৌথ সামরিক অভিযান শুরু করে। তবে সাত সপ্তাহ ধরে হাজারের বেশি বোমাবর্ষণের পরও সুবিধা করতে না পেরে চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন হুতিদের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে।

 

কিন্তু পাঁচ মাস পর চুক্তি ভঙ্গ করে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র হুতিদের ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ইয়েমেনে ইরান-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় মার্কিন পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।

 

আরও পড়ুন: গাজা পরিকল্পনায় রাজি হতে তিন-চার দিন সময় পাবে হামাস: ট্রাম্প

 

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, নিষেধাজ্ঞায় গোষ্ঠীটির ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং চারটি জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ—অর্থ সংগ্রহ, চোরাচালান ও হামলায় সম্পৃক্ত থাকা। এতে কিছু চীনা কোম্পানিও ছিল, যারা হুতিদের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে জড়িত বলে দাবি করা হয়। 

 

ওই নিষেধাজ্ঞার জবাবে মঙ্গলবার পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হুতি। সেই সঙ্গে মার্কিন জাহাজে নতুন করে হামলা শুরুরও ঘোষণা দিয়েছে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন