বুধবার (২৭ আগস্ট) আল জাজিরা প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং সিরিয়ার বিশেষ দূত টম ব্যারাক, হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণের পরিকল্পনা নিয়ে বৈরুতে লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সাংবাকিদের ওই মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন:গাজা হামলায় নিহত রয়টার্স এবং এপি সাংবাদিক হামলার ‘লক্ষ্যবস্তু’ ছিলেন না: ইসরাইল
স্থানীয় গণমাধ্যমকে ব্রিফিংয়ের সময়, লেবানিজ বংশোদ্ভূত ব্যারাক, সব সাংবাদিকদের একসাথে চিৎকার করে প্রশ্ন করার জন্য তিরস্কার করেন। এ সময় তাদের আচরণের সাথে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের মধ্যে একটি যোগসূত্র মেলাতেও দেখা যায় বারাককে।
বারাক বলেন, ‘আমি আপনাদের কিছু বলতে চাই। এই বিশৃঙ্খলা যদি আরও বাড়ে, যদি পশুর মতো আচরণ শুরু হয়, আমরা চলে যাব। আপনারা যদি সত্যিই কিছু জানতে চান, তাহলে সভ্য আচরণ করুন। ভালোভাবে প্রশ্ন করুন। শান্তভাবে। সহনশীল আচরণ করুন। কারণ আপনারা যেমন করছেন এই অঞ্চলে ঠিক তেমনটাই ঘটছে।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আপনারা সুচিন্তিত প্রশ্ন করুন, তাহলে আমরা অবশ্যই উত্তর দেব। কিন্তু যদি এভাবে শোরগোল করেন তাহলে আমরা চলে যাব।
এরপরই ব্যারাকের মন্তব্য নিয়ে লেবানন এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। মার্কিন কূটনীতিকের বিরুদ্ধে তারা অহংকার এবং ঔপনিবেশিক মানসিকতার অভিযোগ তোলেন।
এদিকে, লেবাননের প্রেসিডেন্সি বারাকের এই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। এক্সে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সরকার, ‘সকল সাংবাদিকদের প্রতি পূর্ণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে এবং তাদের পেশাদার ও জাতীয় দায়িত্ব পালনে তাদের প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠার জন্য তাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার মার্কিন পরিকল্পনা অনুমোদন লেবাননের
অন্যদিকে, লেবাননের সাংবাদিক ইউনিয়ন লেবানন এবং আরব সংবাদমাধ্যমগুলোকে রাষ্ট্রদূতের সাথে ভবিষ্যতের কোনো অনুষ্ঠান বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে, যতক্ষণ না তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমক্ষে ক্ষমা চান।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।