মার্কিন-ইসরাইলি জিম্মির সাথে ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন’ হয়ে গেছে, দাবি হামাসের

২ সপ্তাহ আগে
গাজায় একজন ইসরাইলি-মার্কিন জিম্মিকে আটকে রাখা দলের সাথে ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন’ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হামাস। যেখানে ওই জিম্মিকে আটকে রাখা হয়, সেই এলাকায় ইসরাইলি হামলার পর তাদের সাথে ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন’ হয়ে যায় বলে জানায় ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস।

এর আগে ২১ বছর বয়সী সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে একটি ভিডিওতে দেখা যায়। ভিডিওটি প্রকাশ করেছিল ওই দলটি।


গত সপ্তাহে উত্থাপিত ৪৫ দিনের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রথম দিনেই তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য ইসরাইল আহ্বান জানিয়েছিল হামাসকে। কিন্তু হামাস ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

 

আরও পড়ুন:পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনা কোথায়, জানাল তেহরান


এদিকে, মঙ্গলবার হামাস এটি জানায়নি, কখন ওই দলটির সাথে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া তাদের দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণও উপস্থাপন করেনি। 

 

অন্যদিকে, ইসরাইল সব সময় দাবি করে এসেছে, তারা এমন কোনো স্থানে হামলা করে না যেখানে তারা মনে করে জিম্মিদের আটকে রাখা হয়েছে।

 

হামাসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি যে, সৈন্য এডান আলেকজান্ডারকে আটককারী গোষ্ঠীর অবস্থানে সরাসরি ইসরাইলি হামলার পর তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’


‘আমরা তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি’ বলেও জানান তিনি।


২০২৩ সালে ইসরাইলে হামাসের হামলার সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় আনা হয়। যার মধ্যে ৫৯ জন গাজায় ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে মনে করা হয়।

 

এছাড়া গাজায় জিম্মিদের মধ্যে পাঁচজন মার্কিন নাগরিক। তাদের মধ্যে আলেকজান্ডারই একমাত্র জীবিত বলে মনে করা হয়।

 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের পরিবারের উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে তারা সতর্ক করে যে, যদি ইসরাইল গাজায় সামরিক আক্রমণ চালিয়ে যায় তবে তাদের কফিনে ফেরত পাঠানো হবে।

 

আরও পড়ুন:ইসরাইলের ধ্বংসাত্মক আক্রমণে গাজায় মৃত বেড়ে ৫১ হাজার!


গত শনিবার, হামাস আলেকজান্ডারের জীবিত একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের কাছে তার মুক্তির জন্য আলোচনার অনুরোধ জানান। 

 

সূত্র: বিবিসি

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন