বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে দুপুরে পাঁচ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি বিচারক তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পাঁচ আসামি হলেন- শুটার ফারুক ও রবিন এবং সহযোগী শামীম, রুবেল ও ইউসুফ।
গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মামুনকে হত্যার ঘটনায় দুই শুটারসহ পাঁচজনকে গ্রেফেতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় মামুন হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার পথে সূত্রাপুরে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফটকের সামনে মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন এক ব্যক্তি। পেছন থেকে কোমর থেকে অস্ত্র বের করেন দুজন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একের পর এক গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন টার্গেট ব্যক্তি। অপারেশন শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় গুলি ছোড়া দুজন।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি মামুন খুনের কারণ জানাল পুলিশ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খুব কাছ থেকে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ তারিক সাইফ মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ।
পুলিশ জানায়, নিহত তারিক সাইফ মামুন রাজধানীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি ‘ইমন-মামুন গ্রুপের’ অন্যতম প্রধান ছিলেন। একসময় তিনি কুখ্যাত সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইমন ও মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আলোচনায় উঠে আসে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফের নাম। ১৯৯৭ সালে মোহাম্মদপুর জোসেফের ভাই টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি ছিলেন নিহত মামুন। সেই ক্ষোভ থেকে জোসেফের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·