মামদানিকে আটকাতে নাগরিকত্ব নিয়ে আক্রমণ রিপাবলিকানদের

২ সপ্তাহ আগে
নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জোহরান মামদানি। গত মঙ্গলবারের নির্বাচনে এই ঐতিহাসিক জয়ের পরও ওয়াশিংটনের রিপাবলিকান বিরোধীরা তার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকে আটকাতে চেষ্টা চালাতে পারেন। রোববার (৯ নবেম্বর) এমনটাই জানানো হয় আল জাজিরার প্রতিবেদনে।

 

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, যিনি মামদানি জিতলে নিউইয়র্ক সিটির ফেডারেল তহবিল আটকে দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, তিনি মামদানির নাগরিকত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর প্রশ্নগুলোকে সমর্থন করেছিলেন এবং উগান্ডায় জন্মগ্রহণকারী ৩৪ বছর বয়সী মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলেও মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন।

 

আরও পড়ুন:মামদানির জয়ের পর নিউইয়র্কের ইহুদিদের ইসরাইলে চলে আসতে বললেন মন্ত্রী

 

বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা মামদানির নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ার তদন্তের অনুরোধ করেছেন এবং তার মার্কিন নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার এবং তাকে নির্বাসনের দাবি জানিয়েছেন। প্রমাণ ছাড়াই তাকে ‘কমিউনিস্ট’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদী’ কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। 


‘যদি মামদানি তার নাগরিকত্বের নথিতে মিথ্যা কথা বলে থাকেন, তাহলে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে পারেন না এবং তিনি অবশ্যই নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেন না। একটি মহান আমেরিকান শহর একজন কমিউনিস্ট এর হাত ধরে পরিচালিত হওয়ার পথে, যিনি প্রকাশ্যে ‘সন্ত্রাসবাদী মতাদর্শ’ গ্রহণ করেছেন।’ রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি অ্যান্ডি ওগলস ২৯ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন।



মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে মামদানির তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করার পর এসব বলেন তিনি। 

 

আমেরিকান নাগরিকত্ব ব্যবস্থায় কমিউনিজম বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যেকোনো ধরনের সম্পর্ক প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। আমার সন্দেহ আছে যে তিনি সেগুলো প্রকাশ করেছেন কিনা। যদি এটি নিশ্চিত হয়, তাহলে তাকে উগান্ডা ফেরার প্রথম ফ্লাইটে তাকে পাঠিয়ে দিন। বলেন ওগলস। 

 

এদিকে, ফ্লোরিডার রিপাবলিকান প্রতিনিধি র‍্যান্ডি ফাইন ২৭ অক্টোবর নিউজম্যাক্সে বলেছিলেন, ‘বর্বররা আর গেটের বাইরে নেই, তারা ভেতরে ঢুকে পড়েছে। মামদানী, আট বছর আগে এখানে চলে এসেছেন, তিনি এর একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। এখন একজন নাগরিক হয়ে উঠেছেন। দেখুন, আমার মনে হয় তিনি নাগরিকত্ব অর্জনের সংজ্ঞা পূরণ করেননি।’


তবে, পলিটিফ্যাক্ট এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পায়নি যে মামদানি তার নাগরিকত্বের আবেদনে মিথ্যা বলেছেন।

 

উগান্ডায় জন্মগ্রহণকারী মামদানি ১৯৯৮ সালে ৭ বছর বয়সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিক হন। প্রাপ্তবয়স্কদের মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য, সাধারণত তাদের পাঁচ বছর ধরে বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে দেশে অবিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করতে হবে। অথবা মার্কিন নাগরিকের সাথে বিবাহিত হলে তিন বছর থাকতে হবে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া, শুধুমাত্র বিচারিক আদেশের মাধ্যমেই করা যেতে পারে।

 

অন্যদিকে, অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তারা মামদানির আবেদন সম্পর্কে ওগলস এবং ফাইনের দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ দেখেননি।

 

আরও পড়ুন:মামদানির স্ত্রী কে এই রমা দুয়াজি?


মামদানির নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয় বেশ আগেই যখন তিনি ডেমোক্র্যাটিক মেয়র পদে মনোনীত হন।

 

গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের মেয়র পদে  নিউইয়র্কের সাবেক ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে সহজেই পরাজিত করেন মামদানি। যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন