অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলী আজম মানিক ঘিওর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘মানিক কম্পিউটার’ নামের একটি কম্পিউটার দোকান পরিচালনা করেন। অভিযুক্ত নাসিম ভূঁইয়া প্রায়ই নানা কাজের অজুহাতে ওই দোকানে যেতেন এবং কাজ করিয়ে নিলেও বিল পরিশোধ না করে চলে যেতেন। টাকা চাইলে নাসিম দোকান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিতেন এবং ব্যবসা করতে না দেওয়ার ভয় দেখাতেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় দোকানে এসে জরুরি কাজ করানোর দাবি করেন নাসিম ভূঁইয়া। তখন মানিক অন্য এক কাস্টমারের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু রাত ৯টার দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে নাসিম দোকানদার মানিকের দাড়ি ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। মানিক তাকে গালাগাল থেকে বিরত থাকতে বললে, নাসিম হঠাৎই তার ওপর এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারেন।
এ হামলায় মানিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে ও দাড়িতে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও দোকানে থাকা কাস্টমাররা এসে মানিককে উদ্ধার করেন। পরে আহত অবস্থায় তাকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আলী আজম মানিক আরও অভিযোগ করেন, হামলার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি তার দোকানে থাকা একটি কম্পিউটারের মনিটর ভেঙে ফেলেন, যার আনুমানিক মূল্য ১৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: সিলেটে জুলাইযোদ্ধাকে কিল-ঘুষি, এএসআই প্রত্যাহার
ভুক্তভোগী মানিক বলেন, ‘উনি আমাকে দিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করিয়েছেন, কিন্তু কোনো পারিশ্রমিক দেননি। যখন টাকা চাই, তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বাহিরে গিয়ে আরও তিনজন লোকের সঙ্গে পরামর্শ করে, পরে দোকানে ঢুকে দাড়ি ধরে টান দেন এবং মারধর করেন। আমি সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
এ ঘটনায় পাশের কম্পিউটার দোকানের মালিক লিংকন রাজিব বলেন, কাজটা খুব ঘৃণিত করেছে। তার সঠিক শাস্তি হওয়া উচিত।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি ভিডিওটা দেখে। সেনসিটিভ জায়গায় আঘাত করেছে। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কামনা করছি।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আজ আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সে অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখেছি, এতে দেখা গেছে, দাড়ি ধরে অত্যন্ত নিকৃষ্ট কাজটি করেছেন।