সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকেই ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাস। স্বাভাবিক রয়েছে দৈনন্দিন কাজকর্ম। সড়কেও দেখা গেছে সাধারণ মানুষের পর্যাপ্ত উপস্থিতি।
আরও পড়ুন: রাতভর ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে অগ্নিসংযোগ
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম জানান, সড়ক ও মহাসড়কে যাত্রী ও পথচারীদের নিরাপত্তায় টহল বাড়ানো হয়েছে। ৪ প্লাটুন বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মাঠে কাজ করছে একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া জেলা পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশের সদস্যরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলা সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছে প্রশাসন।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী মামলায় রায়কে ঘিরে কেউ যাতে নাশকতা না করতে পারে সে ব্যাপারে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় সারারাত মাঠে ছিল পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা। এছাড়া ভোর থেকে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি বুঝে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিবে পুলিশ।
এদিকে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল বেলা ১১টায় রায় ঘোষণার জন্য বসবেন।
]]>
২ ঘন্টা আগে
১








Bengali (BD) ·
English (US) ·