গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামলায় আসামির সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছেন প্রসিকিউশন। আসামিদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক।
এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম শুনানি করেন। এছাড়া, শুনানিতে প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আর রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
ঐতিহাসিক এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। মোট ৫৪ জন সাক্ষী এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ শুরু হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। পরে এ বছরের মার্চে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সাবেক আইজিপিকে এ মামলায় আসামি করতে প্রসিকিউশনের করা আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। গত ১২ মে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে।
এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওই দিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন। এরপর ১০ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রুভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের করা আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
গত ২৩ অক্টোবর মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনিও শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
আরও পড়ুন: সোমবার যান চলাচল নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন
অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের জবাব দেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের খালাস প্রার্থনা করেন।
মামলার যত অভিযোগ
প্রথম অভিযোগ: গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ ও ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ উল্লেখ করে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সশস্ত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ-নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ করে। গুলি করে দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। আহত হন প্রায় ২৫ হাজার।
দ্বিতীয় অভিযোগ: হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইজিপি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও অধীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে সেই নির্দেশ কার্যকর করেন। গত বছরের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এএসএম মাকসুদ কামাল এবং ১৮ জুলাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে কথা বলেন শেখ হাসিনা। দুজনের সঙ্গে কথোপকথনের পৃথক অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে মারণাস্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রায়ে নারীদের বিশেষ সুবিধা নেই, অপরাধের ধরন বিবেচনায় শাস্তি: প্রসিকিউটর তামিম
শেখ হাসিনার সেই নির্দেশ তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির মাধ্যমে সব বাহিনীর কাছে দেয়া হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও তার অন্যান্য অঙ্গসংগঠন এবং ১৪-দলীয় জোটের কাছেও এই নির্দেশ চলে যায়। এর আলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়। এর দায়ে তাদের (হাসিনা, আসাদুজ্জামান ও মামুন) বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (সর্বোচ্চ দায়) আওতায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
তৃতীয় অভিযোগ: রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আসাদুজ্জামান ও মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়।
চতুর্থ অভিযোগ: রাজধানীর চানখাঁরপুলে আন্দোলনরত নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায়ও শেখ হাসিনাসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
পঞ্চম অভিযোগ: আশুলিয়ায় নিরীহ-নিরস্ত্র ছয়জনকে হত্যার আগুনে পোড়ানোর ঘটনায়ও অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান ও মামুন।
শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ
শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে রোববার (১৬ নভেম্বর) হাইকোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে জড়ো হন দলটির আইনজীবীরা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে দিয়ে আবার সমিতি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তারা শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলার বাদীকে জেরা
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি দেখবে সারা বিশ্ব
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় দেখতে পারবে সারা বিশ্ব। এর রায় ঘোষণা সরসারি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) বিটিভি, রয়টার্স এবং ট্রাইব্যুনালের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ। পাশাপাশি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে বড় স্ক্রিনে লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
রায়ে নারীদের বিশেষ সুবিধা নেই: প্রসিকিউটর তামিম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, জামিনের ক্ষেত্রে নারী, অসুস্থ ব্যক্তি ও কিশোরদের বিশেষ সুবিধা রয়েছে। তবে রায় দেয়ার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা নেই।
প্রসিকিউটর বলেন, সিআরপিসি আইন অনুযায়ী জামিনের ক্ষেত্রে নারী, অসুস্থ ব্যক্তি ও কিশোরদের বিশেষ সুবিধা রয়েছে। তবে রায়ের ক্ষেত্রে নারীকে কোনো অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার বিধান সাধারণ কিংবা ট্রাইব্যুনাল আইনেও নেই। অর্থাৎ আসামি নারী নাকি পুরুষ তা বিবেচ্য নয়। বরং তিনি কী অপরাধ করেছেন, এর ভিত্তিতেই শাস্তি নির্ধারণ হবে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হলে আসামি খালাস পাবেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় আনা পাঁচটি অভিযোগই সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। একইসঙ্গে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করা হয়েছে। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী শহীদ-আহত পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা জানিয়েছিলাম। ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল যে আদেশ দিক না কেন প্রসিকিউশন তা মেনে নেবে।
হাসিনা দণ্ডিত হলে সাজা পরোয়ানা যাবে ইন্টারপোলে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঐতিহাসিক মামলায় দেশের নজর এখন ট্রাইব্যুনালের দিকে। নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের কী সাজা হতে পারে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত কৌতূহলী। আর আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া চৌধুরী আব্দুলাহ আল মামুনের পরিণতিও রায়ের দিনই স্পষ্ট হবে। শেখ হাসিনা দণ্ডিত হলে ট্রাইব্যুনালের সাজা পরোয়ানা ইন্টারপোলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে এটিই সর্বপ্রথম রায় হবে।
রায় ঘোষণা ঘিরে আওয়ামী লীগের শাটডাউন ঘোষণা
মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের রায় ঘোষণা ঘিরে বিচার প্রক্রিয়া নস্যাতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সোমবার দেশব্যাপী শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশজুড়ে ২০টি পরিবহনে আগুন দেয়ার তথ্য জানানো হয়। এরমধ্যে ময়মনসিংহে একটি বাসে আগুন দিয়ে চালক জুলহাসকে হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেন পরিবহন শ্রমিকেরা।
যানবাহন চলবে
আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গণপরিবহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ূন কবির খান বলেন, দেশের যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখতে পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলে, তা প্রতিহত করা হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দেশের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগ এসব কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। ফেডারেশন এসব কর্মসূচি ও নাশকতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক-মালিকদের জন্য সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
এদিকে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিনকে ঘিরে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এ চিঠি দেয়া হয়। রোববার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একটি সূত্র চিঠি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ট্রাইব্যুনালে সেনা মোতায়েন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস থেকে সেনা সদর দফতরে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
রায় ঘোষণার আগে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণার আগে রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকাসহ ৪ জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি।
গাড়িতে আগুন-ককটেল নিক্ষেপকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল নিক্ষেপ করতে এলে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রোববার বিকেলে বেতার বার্তায় কমিশনার এমন নির্দেশনা দেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কেউ যদি বাসে আগুন দেয় বা ককটেল ছোড়ে এবং পুলিশকে আক্রমণ করে পুলিশ সদস্যদের গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটা আইনে আছে। আমি আইন মেনেই দায়িত্ব পালন করতে বলেছি।’

১ সপ্তাহে আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·