শনিবার (১৬ আগস্ট) ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত শিশুরা হলো- গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লেবুডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুন (১২) ও একই ইউনিয়নের বেগপুর গ্রামের সবুর আলীর মেয়ে জামিলা খাতুন (১০)।
জানা যায়, ডুবার মোড় শেফালী বেগম মহিলা নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী তানিয়া ও জামিলা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ও বমি করে। এসময় মাদরাসার লোকজন ও স্থানীয়রা তাদেরকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে। সকালে মরদেহ দুটি গোমস্তাপুর থানায় নেয়া হয়।
মৃত একজনের পায়ের নিচে সাপে কামড়ের দাগ রয়েছে বলে জানায় তানিয়ার চাচা মশিউর রহমান। তিনি জানান, আমার ভাতিজিকে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। কিন্তু আরেক শিশু জামিলা রাস্তাতেই মৃত্যুবরণ করে। এই মৃত্যু নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। তানিয়ার ডান পায়ের গোড়ালিতে সাপের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল যুবকের
মাদরাসার পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে মাদরাসার সকল শিক্ষার্থী সুস্থভাবে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে্। পরে রাত আড়াইটার দিকে জামিলা খাতুন বমির সাথে রক্ত বের করে। তার কিছুক্ষণ পরেই তানিয়া আক্তার নিশিও বমি করে। তারপর মেডিকেলে নিয়ে যায়। তারা কীভাবে মারা গেছে কিছুই বুঝতে পারছি না।
সাপের কামড়ে মৃত্যু হতে পারবে বলে জানান গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সাপ বা কোনো বিষাক্ত পোকার কামড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এক শিশুর পায়ে সামান্য ক্ষত রয়েছে। অন্য কোনো আলামত আমরা পাইনি।
ওসি আরও বলেন, ওই মাদরাসায় ১৩ শিক্ষার্থী ছিল। খাবারের বিষক্রিয়া হলে অন্যরাও অসুস্থ হতো। কিন্তু কেউ অসুস্থ হয়নি। তানিয়া ও জামিলা তাদের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।