সরেজমিনে দেখা যায়, কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে এমপিওভুক্ত হয়। ১৯৯৩ সালে নির্মিত টিনশেড ঘরটি এখন জরাজীর্ণ। সেই টিনশেড ঘরের চালে চুইয়ে পড়ে বৃষ্টির পানি, শ্রেণিকক্ষ ডুবে যায়। ফলে পাঠদান বন্ধ হয়ে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে যায়। পাশে ২০০৯ সালে নির্মিত দোতলা ভবনটিও এখন নাজুক অবস্থায়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দীর্ঘদিন ধরে নতুন ভবনের দাবি জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি।
একই চিত্র সদর উপজেলার কোলচরি নিজগ্রামের ক, খ, গ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। শ্রেণিকক্ষে পাঠ চলাকালে প্রায়ই মাথার ওপর থেকে ঝরে পড়ে পলেস্তারা, ইট বা শুরকি।
রিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহরাব হাসান জানায়, ‘ক্লাসে থাকাকালীন সময়ে মাথার ওপর প্রায়ই বালু বা শুরকি পড়ে। সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। নতুন ভবন ছাড়া আমরা ঠিকমতো পড়তে পারছি না।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের স্পিডবোট মহড়া
দক্ষিণ কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। ঝড়ো বাতাসে বাড়ছে আতঙ্ক। এতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে শিক্ষার পরিবেশ ভেঙে পড়বে।’
ক, খ, গ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদা খানম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রতিদিনই মাথার ওপর পলেস্তারা খসে পড়ছে। শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকিতে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফজলে ইলাহী বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা করে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৭১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক লাখ ২৮ হাজার ৪৯৫ জন শিক্ষার্থী পড়ছে। এর বিপরীতে আছেন ৪ হাজার ৫৮ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ৬১টি বিদ্যালয় কয়েক বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ বা পরিত্যক্ত ঘোষিত।
]]>