প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি নারায়ণ মণ্ডলের বাড়ি থেকে শুরু হয়ে হাজরাপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা মুন্সির বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত। স্থানীয়রা জানান, খালটি বছরের পর বছর ধরে খনন না করায় বিভিন্ন অংশে পলি জমে তা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও খালটি উঁচু-নিচু হয়ে থাকায় বৃষ্টির পানিও ঠিকমতো নামছে না। ফলে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের শত শত কৃষক পানি সংকটে ভুগছেন।
হাজরাপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আকন বলেন, ‘খালের বিভিন্ন স্থানে ব্যক্তিগতভাবে কিছু লোক বাঁধ দিয়েছে, ফলে পানির প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। খালটি খনন ছাড়া কোনো উপায় নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ক১যাতে দ্রুত খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়।’
একই এলাকার পশ্চিম রাস্তি গ্রামের স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘খালের একপাশ উঁচু আর অন্যপাশ নিচু হওয়ায় সঠিকভাবে পানি চলাচল করছে না। ফলে চাষের সময় পানি না পেয়ে আমাদের ফসল উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে।’
রাস্তি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, ‘খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি সরে যেতে পারছে না। এতে পাট জাগ দেওয়াসহ কৃষিকাজে নানা সমস্যায় পড়ছেন কৃষকরা। দ্রুত খননের মাধ্যমে এই দুর্ভোগ লাঘব করা দরকার।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে খাল খননে প্রভাবশালীদের বাধা, শতাধিক কৃষকের বিক্ষোভ
এ ব্যাপারে মাদারীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্তনিয়া বলেন, ‘খালটি এলজিইডির আওতায় থাকলে সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সানাউল কাদের খান বলেন, ‘কৃষকদের কথা বিবেচনায় খালটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে খননের জন্য বরাদ্দ ও প্রকল্পের অনুমোদন প্রয়োজন।’