সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কালকিনির ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে কালকিনি থেকে সার্বিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকায় যাচ্ছিল। রেন্ডিতলা এলাকায় হর্ন দিলে মোটরসাইকেল আরোহী মেহেদি ঘরামী খাদে পড়ে যান। পরে ধাওয়া দিয়ে মেহেদির লোকজন ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে সার্বিক পরিবহনের চালক অহিদুল বেপারীকে ব্যাপক মারধর করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবহন চালক ও এলাকাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ হয়; ভাঙচুর করা হয় বেশকিছু যানবাহনও।
আরও পড়ুন: বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের টেঁটাযুদ্ধে নারীসহ অর্ধশতাধিক আহত
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ফের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে প্রশাসন।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবের সদস্য।
প্রসঙ্গত, সার্বিক পরিবহনের চালক অহিদুল বেপারী ভুরঘাটা মজিদবাড়ির আক্কেল বেপারীর ছেলে ও মেহেদি ঘরামী পাশের উত্তর রাজদী এলাকার জলিল ঘরামীর ছেলে। তাদের দুজনের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় মুহূর্তেই দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।