এক বিবৃতিতে জেডসি জানিয়েছে, উইলিয়ামসের 'শৃঙ্খলাভঙ্গের ইতিহাস ও বারবার অনুপস্থিতি দলীয় প্রস্তুতি ও পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।'
৩৯ বছর বয়সী উইলিয়ামস গত ২০ বছর ধরে জিম্বাবুয়ের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২৭৩টি ম্যাচ খেলেছেন। জেডসি নিশ্চিত করেছে, ২০২৫ এর শেষে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর নতুন করে চুক্তি করা হবে না।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে 'ব্যক্তিগত কারণ' দেখিয়ে দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) জেডসি জানায়, বোর্ড উইলিয়ামসের অনুপস্থিতির কারণ খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করলে এই ৩৯ বছর বয়সী ব্যাটার তাদেরকে জানান যে তিনি মাদকাসক্তির সমস্যায় ভুগছেন এবং স্বেচ্ছায় পুনর্বাসনে (রিহ্যাবে) যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল পাকিস্তান
বোর্ড তাদের বিবৃতিতে বলেছে, 'জেডসি প্রত্যাশা করে যে সব চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা এবং দলীয় নীতি ও অ্যান্টি-ডোপিং নিয়মের প্রতি সর্বোচ্চ মান বজায় রাখবেন। যদিও উইলিয়ামসের পুনর্বাসনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়, সম্ভাব্য পরীক্ষার (ডোপ টেস্ট) মুখে দল থেকে সরে যাওয়া পেশাগত ও নৈতিক মানদণ্ড নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করে।'
২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর থেকে উইলিয়ামস সব ফরম্যাট মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮ হাজারেরও বেশি রান করেছেন। এর মধ্যে ওডিআই ফরম্যাটেই তিনি সবচেয়ে সফল—৩৭.৫৩ গড়ে৫২১৭ রান, সঙ্গে ৮টি শতক ও ৩৭টি অর্ধশতক। চলতি বছরই তিনি জেমস অ্যান্ডারসনকে পেছনে ফেলে সক্রিয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারধারী খেলোয়াড়ে পরিণত হন।
জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার শন উইলিয়ামস। ছবি: আইসিসি
তবে উইলিয়ামসের পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই ছিল বিতর্ক ও জেডসির সঙ্গে টানাপোড়েন। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তিনি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ছিলেন—যেখানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় ছিল তার নেতৃত্বের বড় অর্জন। তবে টুর্নামেন্টের আগে-পরে বোর্ডের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছিল। ২০০৬ সালের মার্চে তিনি বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় চুক্তি ফিরিয়ে দেন। কিন্তু তিন মাস পর আবার সিদ্ধান্ত বদলে ফিরে আসেন। ২০০৮ সালেও একই নাটক পুনরাবৃত্তি হয়—দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়ে কিছুদিন পরই দেশে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: চমক রেখে প্রথম টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া
২০১৪ সালের শেষের দিকে, স্পিনের বিপক্ষে সেরা ব্যাটারদের একজন হওয়া সত্ত্বেও প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তার অনিয়মিত অংশগ্রহণ ও একটি অসম্পূর্ণ শৃঙ্খলাভঙ্গ শুনানির কারণে বাংলাদেশ সফরের দলে তাকে রাখা হয়নি।
জেডসি তাদের বিবৃতিতে আরও বলেছে, 'গত দুই দশকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে শন উইলিয়ামসের অসামান্য অবদানের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের সাম্প্রতিক ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, মাঠে ও মাঠের বাইরে এক স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। জেডসি তার সুস্থতা ও ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছে।'

৪ ঘন্টা আগে
২








Bengali (BD) ·
English (US) ·