সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এ পরিষদের তত্ত্বাবধানে উত্তরার বিভিন্ন মসজিদের আলেম ও মসজিদের ইমামরা নিয়মতান্ত্রিক মাদকবিরোধী প্রচারণা শুরু করেছেন। আর যারা মাদকাসক্ততা থেকে ফিরে আসবে তাদের কর্মসংস্থান ও তাবলিগে পাঠানোর দায়িত্ব তারা নিয়েছেন।
এরই অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) উত্তরা ডিয়াবাড়ি মসজিদে মাদকের ভয়াবহতা ও পরকালীন শাস্তি নিয়ে মুসুল্লীদের সোচ্চার করেন সংগঠনের সভাপতি মুফতি কামালুদ্দীন।
তিনি বলেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপ। অনেকে বিভিন্ন প্ররোচনায় এ বদঅভ্যাসে জড়িয়ে পরেন। নবীজির হাদিস উল্লেখ করেন, মাদকের শেকড় নির্মূলে নবীজি (সা) সুস্পষ্ট বলেছেন, ইবনে উমর (রা.) নবীজি (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, ‘রসুলুল্লাহ (সা.) মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত দশ ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন; মদ উৎপাদনকারী, উৎপাদনের আদেশদাতা, মদ সেবনকারী, বহনকারী, যার জন্য মদ বহন করা হয়, মদ পরিবেশনকারী, মদ বিক্রেতা, মূল্য গ্রহণকারী, মদ ক্রেতা এবং যার জন্য মদ কেনা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১২৯৫)
এরই মধ্যে যারা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা মাদক ছেড়ে দিন এবং আল্লাহর কাছে তওবা করে এই মন্দ কাজ থেকে ফিরে আসার সংকল্প করুন। কারণ, মদকে ইসলামে সব মন্দের মূল আখ্যা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবীজি যে দোয়া সবচেয়ে বেশি করতেন
বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের দায়িত্বশীল মাওলানা সোহাইল সাদী বলেন, ‘এলাকার সবাইকে নিয়ে কিশোর গ্যাং ও মাদক নির্মূল করবো। সমাজের সৎ লোকেরা এক থাকতে পারলে অসৎ লোকেরা কিছুই করতে পারবে না। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও মাদক নির্মূল করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।’
এডিশনাল ডিআইডি মহিবুল ইসলাম জুমার পূর্বে মুসুল্লিদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘মাদক নির্মূলে সর্বাত্মকভাবে আপনাদের সঙ্গে আছি। আর বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের প্রশংসনীয় এ কাজে আমি অভিভূত। প্রতিটি এলাকার আলেমরা এভাবে এগিয়ে আসলে মাদক নির্মূল সহজ হবে।’
তুরাগ থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, ‘বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের কাজে আমরা আপ্লুত হয়েছি। তারা প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের পাশে সব সময় থাকবো, ইনশাল্লাহ।’
]]>