মাদক নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ

২ সপ্তাহ আগে
দেশে ছড়িয়ে পড়া অধিকাংশ মাদকই আসে বাইরের দেশ থেকে, মাদক নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে সীমান্তে নজরদারির ওপর। সেই সঙ্গে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজকে সচেতন হয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। খুলনায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের আলোচনায় এমন তথ্য তুলে ধরেছেন বক্তারা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) খুলনায় পালিত হয় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস।


দিবসটি উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে শহিদ হাদিস পার্কে সমাবেশ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


আলোচনা সভার প্রধান অতিথি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচলিত বেশিরভাগ মাদক বাইরের দেশ থেকে আসে। সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো না গেলে দেশের ভেতরে যতই অভিযান হোক, মাদকের স্রোত ঠেকানো কঠিন।’


তিনি আরও বলেন, ‘মাদক মানবদেহে ভয়াবহ ক্ষতি করে এবং তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজ, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের সুস্থ পথে রাখাও জরুরি।’

আরও পড়ুন: এসআই সুকান্তকে ছেড়ে দেয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি

সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক সহকারী পরিচালক অধ্যাপক মোঃ মাহাদি আল মুদাসির, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সৈকত মো. রেজওয়ানুল হক এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. আহসানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান।


এর আগে সকালে শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। 


বক্তারা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের দাবি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন