শনিবার (৭ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ডিএসসিসির কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার পর রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে সবকয়টি ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
ডিএসসিসি জানায়, এ বারের ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। কোরবানি শেষ করার পর নাগরিক পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীকালে ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে।
ডিএসসিসি আরও জানায়, কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রায় ১০ হাজারের অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে। ২০৭টি ড্রাম ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া নগরবাসীর মধ্যে প্রায় ৪৫ টন ব্লিচিং পাউডার, ৫ লিটার ধারণক্ষমতার ২০৭টি স্যাভলনের গ্যালন এবং এক লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজ নিজ উদ্যোগে কোরবানির বর্জ্য সরাচ্ছেন রাজধানীবাসী
বৃষ্টি উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করায় মাঠ পর্যায়ের পরিচ্ছন্নকর্মী এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। এছাড়া, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসিকে সহযোগিতা করায় নগরবাসীর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এছাড়া গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রশাসক বলেন, নগরবাসীকে নির্ধারিত জায়গায় কোরবানি দিতে ও বর্জ্য ফেলতে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে এবং সঠিক সময়ে নগরবাসীকে সিটি করপোরেশনের বার্তা পৌঁছানোর মাধ্যমে গণমাধ্যম দায়িত্বশীল ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলা পৌরসভার বর্জ্যে সুন্দরবন ও নদীর পরিবেশ দূষিত
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে কোরবানি করা হলেও সেটির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
]]>