বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহেশখালী ও মাতারবাড়ী অঞ্চল ঘিরে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি মহেশখালী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা মিডা নামে বিশেষ কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে সরকার। নবগঠিত এ কর্তৃপক্ষের (মিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান করা হয়েছে আশিক চৌধুরীকে।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে মহেশখালী। মহেশখালীকে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র (কমার্শিয়াল হাব) হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখান থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অবদান রাখা সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রায় দেড় লাখ সরাসরি ও ২৫ লাখ পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মহেশখালী ও মাতারবাড়ী এলাকার জন্য ২০৫৫ সাল পর্যন্ত একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এ জন্য চারটি ক্ষেত্রকে ভিত্তি (পিলার) বা মূল খাত ধরে সামনে এগোনোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, গভীর সমুদ্রবন্দর, পণ্য উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং) ও মৎস্য আহরণ ও সামুদ্রিক অর্থনীতি।’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু হচ্ছে নতুন বিনিয়োগবান্ধব ভিসা নীতিমালা
উন্নয়ন পরিকল্পনা তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হবে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে। এই সময় গভীর সমুদ্রবন্দর চালু, বিদ্যুৎ, সড়ক যোগাযোগের ভিত্তি স্থাপন করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে (২০৩০-২০৪৫) এলএনজি টার্মিনাল, শিল্পকারখানা ও অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন করা হবে। আর তৃতীয় ধাপে (২০৪৫-২০৫৫) পর্যটন ও ইকোট্যুরিজমকে যুক্ত করে মহেশখালী-কক্সবাজারকে আধুনিক শহরে রূপান্তর করা হবে। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকারগুলো এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে।’
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ১২০ দিনের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সময়ে মহেশখালীর মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে তা গভর্নিং বোর্ডে অনুমোদনের উদ্যোগ নেয়া হবে।’
]]>