মাইন-গ্রেনেড নিয়ে পাহাড়ে ত্রাস, অবশেষে ধরা 'ডাকাত শফি'

২ সপ্তাহ আগে
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় থেকে একমাস নজরদারির পর র‌্যাবের অভিযানে ২১ মামলার আসামি 'ডাকাত' শফিকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‌্যাব। এসময় উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাইন, গ্রেনেড ও মাদকদ্রব্য।


মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী পশ্চিম পাহাড়ি অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল শফি। রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাঙালিদের জিম্মি করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে।


রোববার রাতে নয়াপাড়া ২৬ নম্বর ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে অভিযান চালালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে শফি পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তার সহযোগীরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তারা পালিয়ে যায়। পরে গহিন পাহাড়ি আস্তানায় শফিকে আটক করে র‌্যাব।


গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পাহাড়ি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়, ১টি ওয়ান শুটার গান, ২টি একনলা বন্দুক, ১টি এলজি, ১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন, 
১০টি ডেটোনেটর, ৫০ রাউন্ড রাইফেলের তাজা গুলি, ৫৩ রাউন্ড রাইফেলের খালি খোসা, ৬ রাউন্ড শর্টগানের খালি খোসা, ৩টি গ্রেনেড, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস।


আরও পড়ুন: টেকনাফে অপহরণ চক্রের ৫ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার


রোববার রাতে এই অভিযানের পর র‌্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত মাইন ও গ্রেনেডগুলো নাশকতার উদ্দেশে মজুত করা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। একইসঙ্গে এই সন্ত্রাসী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


র‍্যাব জানায়, শফি টেকনাফের নয়াপাড়া নিবন্ধিত ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২টি হত্যা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ৬টি অস্ত্র মামলা ও ৬টি মারামারির মামলা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন